Jay Prakash Majumdar: 'ED-CBI থেকে বাঁচতে রক্ষাকবচ জোগাড় করেছিলেন শুভেন্দু', পাল্টা জয়প্রকাশ
Jay Prakash Attacks Suvendu on Sujay Krishna Arrested: 'কালীঘাটের কাকু' সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র গ্রেফতারে, শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের পাল্টা জয়প্রকাশ মজুমদার, কী বললেন তিনি ?
কলকাতা: প্রায় ১২ ঘণ্টা জেরার পর গ্রেফতার করা হয়েছে 'কালীঘাটের কাকু' সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে (SujanKrishna Bhadra)। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ট্যুইট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোশাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, 'শেষ পর্যন্ত আইনের লম্বা হাত মাস্টারমাইন্ড পর্যন্ত পৌঁছল। কেউ রেহাই পাবে না, মাথারাও জেলে যাবে, সময় হয়ে গেছে।' আর এবার শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের।
জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, 'শুভেন্দু অধিকারী, অমিত শাহ-র হৃদয়ের কাছে পৌঁছে গিয়ে হাত জোড় করে, নিজের যাতে ইডি-সিবিআই যাতে না হয়, নিজের রক্ষাকবচটা জোগাড় করেছিলেন। সেখানে আমি নিজে উপস্থিত ছিলাম। সেটা একবার মনে করিয়ে দিলাম অধিকারীকে।' উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam Case) মঙ্গলবার প্রায় মাঝরাতে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি (Enforcement Directorate)। তথ্য গোপন, তদন্তে অসহযোগিতা করায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি ইডি সূত্রে।
'কালীঘাটের কাকু' নামে যাঁর পরিচিতি তিনি নিজেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সংস্থার কর্মরত এক কর্মী হিসেবে নিজেকে বর্ণণা করেছিলেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া তাপস মণ্ডলের মুখে প্রথমবার শোনা গিয়েছিল কালীঘাটের কাকু তথা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নাম। পরে কুন্তল ঘোষের মুখেও শোনা গিয়েছিল তাঁর নাম। চলতি মাসের ২০ মে যখন সিবিআইয়ের ডাকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিনও কালীঘাটের কাকু তথা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বেহালার বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। চলেছিল ম্যারাথন তল্লাশি। জিজ্ঞাসাবাদ। চলতি বছরের শুরুতেই অবশ্য কালীঘাটের কাকু দাবি করেছিলেন, তাঁর সাহেবকে কেউ ছুঁতে পারবে না। বড়জোড় তাঁর কাছে এসেই সব থেমে যাবে।
আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ?
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
গত ২২ ফেব্রুয়ারি এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে কালীঘাটের কাকু তথা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র বলেছিলেন, 'আমার যে সাহেব, পৃথিবীর কারোর ক্ষমতা নেই তাঁকে ছোঁবে। কারণ, তাঁর নাম কেউ করতে পারবে না। তাঁর সঙ্গে কেউ দেখা করতে পারবে না। তাঁর সঙ্গে কেউ ফোনে কথা বলতে পারবে না। তাই যা চেষ্টা হচ্ছে, সেটা আমার পর্যন্ত এসে থেমে যেতে হবে।' যার পরই তাপস মণ্ডল বর্ণিত কালীঘাটের কাকু জুড়েছিলেন, 'আমার সাহেব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওঁর অফিসে চাকরি করি। ২০০৯ সাল থেকে।' প্রসঙ্গত, যে প্রসঙ্গে কালীঘাটের কাকুকে চেনেন কি না জানতে চাইলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেছিলেন, 'আমি চিনতাম, কিন্তু কীভাবে চিনি, সেটা আপনাদের বলব না।'