Suvendu On Dilip Marriage : দিলীপ ঘোষের বিয়ে, শুভেচ্ছা জানালেন না? সোজাসাপটা জবাব শুভেন্দুর
দল থেকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার, লকেট চট্টোপাধ্যায়, শমীক ভট্টাচার্য সহ আরও অনেকেই। তবে ছিলেন না শুভেন্দু অধিকারী।

উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : একুশে প্রথম আলাপ ইকো পার্কের মর্নিং ওয়াকে। আর পঁচিশে পরিণতি পেল সেই সম্পর্ক। দলেরই মহিলা মোর্চার নেত্রী রিঙ্কু মজুমদারের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন দিলীপ ঘোষ। বিয়ের ধুতি নিয়ে তাঁর ফ্ল্য়াটে গেলেন সুকান্ত মজুমদার-সহ বিজেপির নেতারা। অন্য়দিকে, ফুল, মিষ্টি এবং শুভেচ্ছাবার্তা এল মুখ্য়মন্ত্রীর কাছ থেকেও। বিয়ের দিনে বিরোধী শিবির থেকেও এল শুভেচ্ছার ঢেউ। ঢেউয়ের সঙ্গে বালির খোঁচার মতো এল কটাক্ষও। শুক্রবার সকাল থেকেই দিলীপ ঘোষের নিউটাউনের আবাসনে লেগেই ছিল তাঁর দলের হেভিওয়েটদের ভিড়। দল থেকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার, লকেট চট্টোপাধ্যায়, শমীক ভট্টাচার্য সহ আরও অনেকেই। তবে ছিলেন না শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তিনি। কিছুদিন আগেও বিধানসভায় গিয়ে শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা করে এসেছিলেন দিলীপ। দুজনে ধরা পড়েন একফ্রেমে। তবে বিয়ের দিনের ফ্রেমে শুভেন্দু অধিকারী রইলেন না। কিন্তু শুভেচ্ছা কি পাঠালেন?
শুভেন্দুর প্রতিক্রিয়া
শুভেন্দুকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটা ওঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার কিছু বলতে চাই না। এবিপি আনন্দর প্রতিনিধি জিগ্যেস করেন, শুভেচ্ছা জানাবেন না ? তিনি বলেন, 'পার্টির তরফে তো জানিয়েছে, আমিও তো পার্টির একজন'। এই টুকু বলেই তিনি অন্য প্রসঙ্গে চলে যান। মুর্শিদাবাদ পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর গভীর উদ্বেগ ব্যক্ত করেন। এদিকে সুকান্ত মজুমদার গিয়েছিলেন তাঁর বাড়িতে। হাতে তুলে দেন উপহার। বলেন, ' দিলীপদার এবং তাঁর আগামী নববধূ যিনি আসছেন তাঁদের আগামী জীবন অত্যন্ত শুভ হোক। ভাল হোক।' দিলীপ ঘোষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অগ্নিমিত্রা পাল। 'তাঁদের আগামী বিবাহিত জীবন অত্যন্ত আনন্দের হোক। সুখের হোক। এবং আশা করব যে আগামী দিনে দিলীপদা একটা বড় আমাদের জন্য মানে ভোজের আয়োজন করবে।'
বিরোধী শিবির থেকেও এসেছে শুভেচ্ছাবার্তা। গত লোকসভা ভোটে দিলীপ ঘোষকে হারিয়ে সাংসদ হয়েছিলেন তৃণমূলের কীর্তি আজাদ!
দিলীপ ঘোষের বিয়ে উপলক্ষ্য়ে তিনিও লোকসভা কেন্দ্রে মিষ্টি বিলি করেন। তাঁর গলায় শোনা যায় - মেরে ইয়ার কি শাদি হ্যায়...।
সবমিলিয়ে শুক্র-সন্ধেয় রাজনীতির পাশাপাশি বাড়িতেও দায়িত্ব বাড়ল দিলীপের। আদ্যোপান্ত রাজনীতিক দিলীপ ঘোষ পদার্পন করলেন সাংসারিক জীবনে।






















