Suvendu Adhikari: আচমকা ভিভিআইপি গেট দিয়ে প্রবেশ শুভেন্দুর, নবান্নে বাড়ল নিরাপত্তা
Suvendu At Nabanna: কী করে পৌঁছলেন শুভেন্দু? কেন পুলিশের কাছে আগাম কোনও বার্তা ছিল না ? কেন পুলিশ আগে থেকে জানতে পারেনি ? নবান্ন ইস্যুতে উঠছে একের পর এক প্রশ্ন ..
কলকাতা: সংসদকাণ্ডের (Smoke Cannister Incident) পর এবার সতর্ক কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্যও। এদিকে আজই ছিল দিল্লিতে মোদি-মমতার বৈঠক। এমনই এক গুরুত্বপূর্ণ দিনে সামনে এসেছে আরও একটি ঘটনা। এদিন আচমকা ভিভিআইপি গেট দিয়ে প্রবেশ শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari), নবান্নে বাড়ল নিরাপত্তা। ভিভিআইপি গেটে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা আটকানোর চেষ্টা করলেও শোনেননি, দাবি পুলিশের।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এদিন ঠিক ১১ টার সময় বিধানসভায় আসেন। সঙ্গে ছিলেন দু তিনজন বিধায়ক। তারপর দরজা বন্ধ করে কিছুক্ষণ কথা বলেন তাঁদের সঙ্গে। এখান থেকেই ফোন যায় নবান্নে। তিনি মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করতে চান, এই বার্তা পাঠানো হয়, মুখ্যসচিবের ঘরে। কিন্তু তাঁর উত্তরের অপেক্ষা না করে, বিধানসভার গেট থেকে পৌঁছে যান একেবারে নবান্নে। তারপর প্রায় ১৫ মিনিট ধরে মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলেন।
এরপরেই উঠে আসে প্রশ্নের সমুদ্র। শুভেন্দু অধিকারী কী করে পৌঁছলেন ? কেন পুলিশের কাছে আগাম কোনও বার্তা ছিল না ? কেন পুলিশ আগে থেকে জানতে পারেনি ? প্রশাসনিক মহলে কিন্তু এই প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়েছে। দেখা যাচ্ছে বিধানসভার গেটের সামনে নজির বিহীন তৎপরতা। আইপিএস অফিসার নিজে পৌঁছে গেছেন। এবং কীভাবে রেলিং দিয়ে গোটা বিষয়টিকে আটকানো যায় , এনিয়ে রীতিমত তৎপরতা পুলিশ আধিকারিকদের মধ্য়ে।
নবান্নের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার। সিনিয়র কনস্টেবলদের পরিবর্তে এবার নবান্নে ভিভিআইপি গেটে মোতায়েন সাব ইন্সপেক্টর পদাধিকারী। নবান্নে ঢোকার অন্যান্য গেটেও বাড়ল নিরাপত্তা। বিধানসভার ভিতর-বাইরেও বাড়ল পুলিশি নিরাপত্তা। বিধানসভার গেটে মোতায়েন করা হল প্রচুর পুলিশ।
দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বৈঠকের দিনই বিজেপি-র তিন বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি, শঙ্কর ঘোষ এবং বিশাল লামাকে নিয়ে নবান্নে ঢুকে পড়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই নিয়ে উত্তেজনা যখন তুঙ্গে, সেই আবহেই নবান্ন থেকে বেরিয়ে মমতাকে বার্তা দিলেন শুভেন্দু। বলেন, 'এক ইঞ্চিও জায়গা ছাড়ব না, তাড়া করে বেড়াব আপনাকে।'
বুধবার সকালে প্রথমে বিধানসভায় যান শুভেন্দু। সেখানে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এর পর কাউকে কিছু জানতে না দিয়েই নবান্নের উদ্দেশে রওনা দেন। সেখানে পৌঁছে সটান নবান্নের ভিতরকে ঢুকে যান। সেই নিয়ে চরম উত্তেজনা দেখা দেয় প্রশাসনিক স্তরে। নবান্নের বাইরে পুলিশ মোতায়েন বাড়ানো হয়।
আরও পড়ুন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় ইস্যু নিয়ে বড় বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
প্রায় আধ ঘণ্টার মাথায় নবান্ন থেকে বেরিয়ে আসেন শুভেন্দু এবং বিজেপি-র তিন বিধায়ক। সেখানে শুভেন্দু জানান, রাজ্যে বিরোধীদের কোনও বৈঠকে ডাকা হয় না। বঞ্চনার অভিযোগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি গিয়েছেন, কিন্তু আসলে বাংলার মানুষের সঙ্গে বঞ্চনা করছে এই সরকার। ইউপিএ আমলের থেকে নরেন্দ্র মোদির আমলে রাজ্যের জন্য বরাদ্দ বাড়লেও, সেই টাকা নয়ছয় হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন শুভেন্দু।