Tathagata Roy Update: মজ্জায় মিশে গিয়েছে ক্যান্সার, কেমোথেরাপি জরুরি জানিয়ে 'বিদায়' নিলেন তথাগত
Tathagata on WB BJP: তথাগতর মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ দিলীপ। তাঁর বক্তব্য, "উনি আর কতবার বিদায় নেবেন!"
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও দীপক ঘোষ, কলকাতা: বিজেপি-র (BJP) রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ফের সরব তথাগত রায় (Tathagata Roy)। আসানসোল এবং বালিগঞ্জে জোড়া হারের পর এবার প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতির ট্যুইট আক্রমণ। তাঁর মতে, দলের মজ্জায় মজ্জায় এখন ক্যানসার ধরেছে। পাশাপাশি নাম না করে ফের কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষকেও (Dilip Ghosh)। পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদও।
লাগাতার রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে আক্রমণ দিলীপের
কখনও কামিনী-কাঞ্চন, কখনও ফিটার মিস্ত্রি, কখনও আবার বেবুন, বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে বাংলায় যত বার পরাজিত হয়েছে বিজেপি, ততই রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়েছেন বাংলায় বিজেপি-র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত। লাগাতার বিজেপি নেতৃত্বের একাংশকে আক্রমণ-কটাক্ষ-ব্যাঙ্গ করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। আসানসোল এবং বালিগঞ্জে সম্প্রতি জোড়া হারের পরও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
তার মধ্যেই মঙ্গলবার ফের ট্যুইট করেন তথাগত। লেখেন, "সে ভেগেছে, না বললে এখনও দলের মাথায় বসে থাকত। দলের মজ্জায় মজ্জায় এখন ক্যান্সার ধরেছে। যদি বাঁচাতে হয় তা হলে ভয়াবহ অপারেশন এবং কেমোথেরাপি অত্যাবশ্যক। না হলে রোগী বাঁচবে না। এইটুকু বলে বিদায় নিচ্ছি। যা ভালো বোঝো কর, আশীর্বাদ রইল।" বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় বিজেপি-র পর্যবেক্ষক হয়ে আসা এবং ফলাফল বেরনোর পর থেকে বেপাত্তা কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা রাজ্য বিজেপি-র প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষকে নিশানা করেই তথআগতর এমন ট্যুইট বলে মনে করা হচ্ছে।
তথাগতকে গুরুত্ব দিতে নারাজ দিলীপ
তবে তথাগতর মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ দিলীপ। তাঁর বক্তব্য, "উনি আর কতবার বিদায় নেবেন!" তথাগতর মন্তব্যের সূ্ত্র ধরে বিজেপি-কে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূলও। দলের রাজ্যসভা সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, "উনি তো শিক্ষিত লোক। মাঝে মাঝে বিবেক বুদ্ধি জাগে। বিজেপি ক্যান্সারের মতো। আমি তো ডাক্তার তাই বলতে পারি, এর কোনও প্রতিষেধক নেই আর।"
যদিও এই প্রথম নয়, এর আগেও দলীয় নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছেন তথাগত রায়। তা নিয়ে দলেরই নেতাদের সমালোচনার মুখে পড়লেও, নিজের অবস্থান থেকে নড়েননি তিনি। অনড় তিনি।