Soumitra Khan : চাকরিপ্রার্থীদের তুমুল বিক্ষোভ, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি বিজেপি সাংসদের
BJP MP on TET Agitation : রাজ্যের শিক্ষা সচিবকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি সৌমিত্র খাঁ-র
কলকাতা : চাকরিপ্রার্থীদের তুমুল বিক্ষোভ, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের (Education Minister Dharmendra Pradhan) হস্তক্ষেপের দাবি। হস্তক্ষেপের দাবিতে ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-র। রাজ্যের শিক্ষা সচিবকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি সৌমিত্র খাঁ-র (Soumitra Khan)।
কুরুক্ষেত্র করুণাময়ী-
মধ্যরাতে করুণাময়ীতে (Karunamoyee) বলপ্রয়োগ করে অনশনে ক্লান্ত বিক্ষোভকারীদের তুলে দিয়েছে পুলিশ। গভীর রাতে পুলিশি অভিযান ঘিরে করুণাময়ীতে কার্যত ধুন্ধুমার বেধে যায়। ৮৪ ঘণ্টার মাথায় চ্যাংদোলা করে টেনে হিঁচড়ে আন্দোলনকারীদের তুলে দেওয়া হয়। ৬১ ঘণ্টার অনশন ভেঙে দেওয়া হয় ১৫ মিনিটেই !
১০ নম্বর ট্যাঙ্কের কাছে ২০১৭’র চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থানও তুলে দেওয়া হয়। সল্টলেকে ১০ নম্বর ট্যাঙ্কের কাছে অবস্থান করছিলেন ২০১৭’র চাকরিপ্রার্থীরা। গতকাল রাত ২টোর সময় সেখানেও চলে পুলিশি অভিযান। কয়েকজনকে বুঝিয়ে গাড়িতে তোলা হয়। বাকিদের টেনে হিঁচড়ে, চ্যাংদোলা করে গাড়িতে তোলে পুলিশ। এরপর রাতেই তাঁদের নিয়ে এসে ধর্মতলা বাস টার্মিনাস, শিয়ালদা স্টেশন ও হাওড়া স্টেশনে ছেড়ে দেওয়া হয়। মহিলা আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তার বিষয়টি না ভেবে পুলিশ কীভাবে অত রাতে তাঁদের স্টেশনে, বাস টার্মিনাসে ছেড়ে দিল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন ২০১৭’র চাকরিপ্রার্থীরা।
এই ঘটনার প্রতিবাদে একে একে সরব হয়েছেন রাজ্য বিজেপির নেতৃত্ব। প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
ট্যুইটারে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, 'পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের অবস্থানকে নির্মমভাবে বলপ্রয়োগ করে তুলে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, না কি, হিটলারের জার্মানি?'
এদিকে বেলা গড়াতেই রাজপথে প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল হয় গেরুয়া শিবির। করুণাময়ীতে চাকরিপ্রার্থীদের ওপর পুলিশি জুলুমের অভিযোগে বিজেপির প্রতিবাদ মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার বেধে যায়। পুলিশ ধর্মতলায় মিছিল আটকালে প্রথমে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান অগ্নিমিত্রা পালরা। তারপর গার্ডরেল ঠেলে এগোনোর চেষ্টা বিজেপি নেতা-কর্মীদের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে নিশানা করে বিজেপির দাবি, যোগ্যদের হয় চাকরি দিন, নয় তো পদত্যাগ করুন।
সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে করুণাময়ীকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় এবিভিপি। সেন্ট্রাল পার্ক মেট্রো স্টেশন থেকে বেরিয়ে দপায় দফায় এবিভিপি কর্মীরা বিকাশ ভবনের দিকে এগোতে যান। পুলিশ বাধা দিলে শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। পুলিশ এবিভিপি কর্মীদের টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তোলে। পুলিশ সূত্রে খবর, ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন ; "কেন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা জারি হবে ?" করুণাময়ীর ঘটনায় সরব অপর্ণা সেন