Dengue : কলকাতার হাসপাতালে পরপর মৃত্যু ডেঙ্গি আক্রান্তের, বাড়াবাড়ি ঠেকাতে বাংলাদেশের সঙ্গে কথা পুরসভার
Dengue Bangladesh Connection : কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশ থেকে আসা যাত্রীদের, ইমিগ্রেশন চেকিং পয়েন্টে রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা করার অনুরোধ করা হচ্ছে।
কলকাতা : বাংলাদেশে ডেঙ্গিতে ( Dengue ) আক্রান্ত হয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। মশাজনিত ( Mosquito ) রোগের প্রকোপ বাড়ছে এপার বাংলাতেও। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঢাকার মেয়রের সঙ্গে কথা বলেছেন, কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ।
বাংলাদেশ থেকে আসা যাত্রীদের নিয়ে কেন শঙ্কা পুরসভার ?
চলতি মাসেই এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১৩০ জনের। আর এপার বাংলায় এখনও পর্যন্ত প্রাণ গেছে কয়েকজন ডেঙ্গি আক্রান্তর। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়িয়েছে কলকাতা পুরসভারও।
কারণ, চিকিৎসা-সহ নানা কারণে বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ এপারে আসেন। সেরকম কারও শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু থাকলে, সেখান থেকে ডেঙ্গি ছড়ানোর আশঙ্কা থেকেই যাবে! কলকাতা পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, ডেঙ্গি মোকাবিলা নিয়ে, ঢাকার মেয়রের সঙ্গে কথা হয়েছে কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের। রাজ্য সরকারকেও চিঠি দিতে চলেছে পুরসভা। কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশ থেকে আসা যাত্রীদের, ইমিগ্রেশন চেকিং পয়েন্টে রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা করার অনুরোধ করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, ডেঙ্গি আক্রান্তদের অযথা রেফার করা যাবে না। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সজাগ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জ্বরে আক্রান্ত কেউ ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এলে, নমুনা সংগ্রহ করে দ্রুত রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
পুরসভা জানিয়েছে, ডেঙ্গি নিয়ে আগেই সতর্ক করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কলকাতায় শুধু গত জুন মাসেই ১৬৫ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন। চলতি মাসে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ২০০ ছাড়িয়েছে।
ডেঙ্গির কোন উপসর্গ থাকলে হাসপাতালে যাবে?
জেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে, শরীর দুর্বল হলে, মাথা ঘুরলে, অস্থিরভাব বা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে হাসপাতালে যাবেন। এছাড়াও রক্তক্ষরণ, কালসিটে দেখা দিলে, শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট, বমি, পেটে ব্যথা, কম প্রস্রাবের মতো সমস্যা দেখা দিলে হাসপাতালে যেতে হবে।
কলকাতার হাসপাতালে ১২ দিনে মৃত্যু ৭ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের
মশাবাহিত এই রোগে কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে ১২ দিনে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। মঙ্গলবারই NRS হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গি আক্রান্ত, ১১ বছরের জয় বিশ্বাসের। নদিয়ার হাঁসখালির বাসিন্দা ওই বালককে ২১ জুলাই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার আগে ১৩ জুলাই আরজি কর হাসপাতালে মৃত্য়ু হয় বারাসাতের বাসিন্দা, ডেঙ্গি আক্রান্ত সায়নিকা হালদারের। বাঙুর অ্য়াভিনিউয়ের বাসিন্দা, ডেঙ্গি আক্রান্ত রিঙ্কি রায় মজুমদারেরও সম্প্রতি মৃত্য়ু হয়। ২০১৭ সালে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূর শ্বশুরমশাইয়ের। তার এক মাস আগেই ডেঙ্গি কেড়ে নিয়েছিল তাঁর পিসি শাশু়ড়িকে। ৬ বছরের মধ্যে একই পরিবারের ৩ জনের প্রাণ গেছে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে। ২১ জুলাই, লেকটাউনের ড্যাফোডিল নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় রিঙ্কি রায় মজুমদারের।