Bhangar Arrest: ভাঙড়ে গুলি চালানো, বোমাবাজির ঘটনায় প্রার্থীর স্বামী সহ তিন ISF কর্মী গ্রেফতার
South 24 Parganas: মনোনয়নের শেষদিনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে গুলি চালানো, বোমাবাজির ঘটনায় এবার ৩ আইএসএফ কর্মীকে গ্রেফতার করল কাশীপুর থানার পুলিশ।
কলকাতা: মনোনয়নের শেষদিনে ভাঙড়ে (Bhangar) গুলি চালানো, বোমাবাজির ঘটনায় ৩ জন আইএসএফ কর্মীকে গ্রেফতার করল কাশীপুর থানার পুলিশ (Cossipore Police Station)। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন, ৮৩ নম্বর জেলা পরিষদের আইএসএফ প্রার্থী জাহানারা খাতুনের স্বামী করিমুল মোল্লা। পরিবারের দাবি, এখনও খোঁজ নেই জাহানারার। গ্রেফতারি ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
আইএসএফ কর্মী গ্রেফতার: মনোনয়নের শেষদিনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে গুলি চালানো, বোমাবাজির ঘটনায় এবার ৩ আইএসএফ কর্মীকে গ্রেফতার করল কাশীপুর থানার পুলিশ। ধৃতদের মধ্য়ে রয়েছেন জেলা পরিষদের ৮৩ নম্বর আসনের ISF প্রার্থী জাহানারা খাতুনের স্বামী। যিনি ভোট গণনার দিন থেকে নিখোঁজ ছিলেন। গণনা ঘিরে ১১ জুলাই মাঝরাতে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠে ভাঙড়। দুই আইএসএফ কর্মী ও একজন নিরীহ ভোটারের মৃত্যু হয়। ভাঙড়ের কাঠালিয়া হাইস্কুলে পঞ্চায়েত ভোটের গণনা চলছিল।
ভাঙড় দুই নম্বর ব্লকে ৮১, ৮২ ও ৮৩-এই তিনটি জেলা পরিষদের আসন রয়েছে। তার মধ্যে ৮১ নম্বর আসনে জয়লাভ করেন আরাবুল ইসলামের ছেলে হাকিমুল। ৮২ নম্বর আসনে জয়ী হন ISF প্রার্থী রাইনুল হক। ৮৩ নম্বর আসনে জয়-পরাজয় নিয়েই গন্ডগোলের সূত্রপাত হয়। এই আসনে তৃণমূল প্রার্থী খাদিজা বিবি সর্দার এবং ISF প্রার্থী জাহানারা বিবির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছিল। ISF-এর অভিযোগ, তাঁদের প্রার্থী জয়লাভ করেন। কিন্তু তাঁকে জয়ের শংসাপত্র দেওয়া হয়নি। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। আর এ নিয়ে দু'পক্ষের সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
এই পরিস্থিতিতে, ১১ জুলাই রাত থেকে নিখোঁজ জেলা পরিষদের ৮৩ নম্বর আসনের ISF প্রার্থী জাহানারা খাতুন, তাঁর স্বামী ও বেশ কয়েকজন কাউন্টিং এজেন্ট। পরিবারের দাবি, এখনও খোঁজ নেই জাহানারার। এরমধ্যেই, রবিবার তাঁর স্বামী করিমুল মোল্লা-সহ দুজনকে কলকাতা বিমানবন্দর চত্বর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত করিমুল মোল্লা, আশাদুল মোল্লা ও রাহুল মোল্লা - তিনজনই আইএসএফ কর্মী। ধৃতদের দাবি, মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে তাঁদের। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, অস্ত্র আইন- সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ভোট গণনার দিন রাতে পুলিশের ওপর আক্রমণের ঘটনাতেও ধৃতদের যোগ রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করে ISF প্রার্থী জাহানারারও খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা চলছে। ২১ জুলাই পর্যন্ত তাঁদের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বারুইপুর মহকুমা আদালত।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial