(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Abhishek Banerjee : 'করে-কম্মে খাওয়ার দিন শেষ, যাঁরা নিজেদের মধ্যে রেষারেষি করছেন, এক মাস সময় দিলাম' হুঁশিয়ারি অভিষেকের
TMC News : অভিষেকের হুঁশিয়ারি, পাহারাদারির দায়িত্বে আমি আছি। যাঁরা ভেবেছেন প্রার্থী হয়ে মানুষের কাজ করবেন না সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে।
কেশপুর : দুয়ারে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023), তার আগে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের কড়া বার্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। সামনে চলে আসা বিবাদ-বিতর্ক মিটিয়ে নিতে বলে সময়সীমা বেঁধে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ ভোটের বার্তা দিয়ে আশ্বাস দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিবাদ মেটাতে বার্তা
তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের প্রতি অভিষেকের বার্তা, 'করে-কম্মে খাওয়ার দিন শেষ। যাঁরা নিজেদের মধ্যে রেযারেষি করছেন, এক মাস সময় দিলাম। পাহারাদারির দায়িত্বে আমি আছি। যাঁরা ভেবেছেন প্রার্থী হয়ে মানুষের কাজ করবেন না সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। কোন অঞ্চল সভাপতি কী করছে আমার নজরে আছে'।
সভার প্রাক্কালে জনসংযোগও
কেশপুরে জনসভার আগে খড়গপুর গ্রামীণ ব্লকের মাতকাতপুরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন অভিষেক। শুনলেন তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা। এখানে বহুদিন ধরে আছেন শতাধিক পরিবার। জায়গাটি সেচ দফতরের অন্তর্গত। তাই এঁরা জমির পাট্টা পান না বলে অভিযোগ জানিয়েছেন অভিষেকের কাছে। শোনামাত্র সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে ফোন করেন তিনি।
কী নতুন তৃণমূল ?
আগে একাধিকবার তাঁর বার্তায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) জানিয়েছিলেন, খুব তাড়াতাড়ি সামনে আসবে নতুন তৃণমূল। কেশপুরের সভা থেকে বক্তব্য রাখার মাঝে তিনি কী জানিয়েছিলেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। অভিষেক বলেছেন, 'মানুষ তৃণমূলকে যেভাবে দেখতে চায় সেটাই নতুন তৃণমূল'। সঙ্গে ফের একবার শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার আশ্বাস শোনা গেল তাঁর মুখে, 'আগামীদিন প্রতিটি পঞ্চায়েতে শান্তিপূর্ণ, অবাধ নির্বাচন হবে। পঞ্চায়েতে মানুষ ভোট দেবেন। বিরোধীরা মনোনয়ন করতে না পারলে আমি করে দেব।'
বিরোধীদের আক্রমণ
সিপিএমের হার্মাদরা এখন বিজেপির জল্লাদ, বলেই আক্রমণ অভিষেকের। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বার্তা ' গেরুয়া জামা গায়ে দিয়ে কেশপুরে সন্ত্রাসের দিন ফিরিয়ে আনতে চাইছে। কেশপুরের মানুষ জানেন কারা কোন রঙের জামা গায়ে দেন। নির্বাচনের পর তৃণমূলের জামা গায়ে পরে নেওয়া যাবে না'।
যার পরই কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ শানিয়ে অভিষেকের আক্রমণ, ''বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি হলে বাংলার মানুষের পেটে আঘাত পড়েছে। ১৭ লক্ষ পরিবারের টাকা এরা আটকে রেখে দিয়েছে। বাংলায় জিততে পারেনি বলে টাকা আটকে রেখেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের টিম কোনও ভুল ধরতে পারেনি। ১১ লক্ষ মানুষের তালিকা কেন্দ্রীয় সরকারকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে'।
আরও পড়ুন- ‘কোন অঞ্চল সভাপতি কী করছে আমার নজরে আছে,' হুঁশিয়ারি অভিষেকের