Mid Day Meal Scam: মিড-ডে মিলের ফান্ড থেকে বগটুই নিহতের পরিবারকে অর্থসাহায্য রাজ্য সরকারের?
TMC: বীরভূম জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, বগটুইকাণ্ডে এক বছর হতে চলল, ইস্যু না পেয়ে সেই ঘটনা নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাজার গরম করার চেষ্টা করে কোনও লাভ হবে না।
বীরভূম: বগটুই (Bogtui) হত্যাকাণ্ডে নিহতদের পরিবারকে রাজ্য সরকার (State Government) যে আর্থিক সাহায্য দিয়েছে, সেই টাকা কেন্দ্রের দেওয়া মিড-ডে মিলের (Mid Day meal) ফান্ড থেকে দেওয়া হয়েছে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করে ফেসবুক পোষ্ট করলেন বিজেপির (BJP) বীরভূম (Birbhum) সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা। গতকাল ফেসবুক পোস্টে দুটি চেকের ছবি দিয়ে তিনি এই অভিযোগ তোলেন। এনিয়ে তদন্তেরও দাবি করেছেন ধ্রুব সাহা। বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। পাল্টা, বীরভূম জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, বগটুইকাণ্ডে এক বছর হতে চলল, ইস্যু না পেয়ে সেই ঘটনা নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাজার গরম করার চেষ্টা করে কোনও লাভ হবে না।
সরেজমিনে কেন্দ্রীয় দল: রাজ্য়ের সকুলগুলিতে মিড ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ৩০ জানুয়ারি রাজ্য়ে আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। আসার কথা ছিল ২০ জানুয়ারি। এ মাসের শুরু থেকেই মিড ডে মিলে মুরগির মাংস এবং ফল দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল রাজ্যের তরফে। তারপর থেকে মিড ডে মিল নিয়ে সামনে এসেছে একাধিক অভিযোগ। কোথাও মিড ডে মিলের মধ্য়ে মিলেছে সাপ, টিকটিকি, কোথাও মরা ইঁদুর। এই পরিস্থিতি পর্যালোচনায় কেন্দ্রীয় দল আসার কথা জানা যায়। সরকারি সূত্রে খবর, ৩০ জানুয়ারি রাজ্য়ে আসবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। থাকবে ৬ ফ্রেব্রুয়ারি পর্যন্ত।স্কুল শিক্ষা দফতরের সঙ্গে বৈঠক, স্কুলে স্কুলে গিয়ে মিড ডে মিলের বাস্তব পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে।
কোথাও সাপ, কোথাও ইঁদুর, কোথাও টিকটিকি। এখন আবার ফান্ড সংক্রান্ত অভিযোগ। মিড ডে মিল নিয়ে গত কয়েকদিনে সামনে এসেছে এমন একাধিক অভিযোগ। এই প্রেক্ষিতে মিড ডে মিল প্রকল্প কেমন চলছে, দেখতে আসছে কেন্দ্রীয় দল। রাজ্য়ের আধিকারিকদের নিয়ে তারা খতিয়ে দেখবে, রান্নাঘরের কী অবস্থা? ছাত্র-ছাত্রীরা পর্যাপ্ত পুষ্টি পাচ্ছে কি না। খাবার পরীক্ষা হচ্ছে কিনা। অন্য়দিকে এই দলের আসা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
শুভেন্দুর ট্যুইট: রাজ্যে মিড ডে মিল পর্যালোচনায় কেন্দ্রীয় দল আসা নিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্রীয় প্রকল্পকে রাজনৈতিক প্রচারের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে রাজ্য সরকার। এবার পুরো বিষয়টি প্রকাশ্যে আনার সময় হয়েছে। ট্যুইট করে শাসকদলকে নিশানাও করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।