TMC News: রক্তদান শিবিরেই রক্তারক্তি! বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল
TMC Inner Clash: তৃণমূল নেতা ও বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্য়ান সব্যসাচী দত্তের উপস্থিতিতেই, তাঁর দুই অনুগামীর গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে তুলকালাম হল এলাকা।

কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। রাজারহাটের লস্করআটিতে রক্তদান শিবিরেই কার্যত রক্তারক্তি কাণ্ড। তৃণমূল নেতা ও বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্য়ান সব্যসাচী দত্তের উপস্থিতিতেই, তাঁর দুই অনুগামীর গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে তুলকালাম হল এলাকা। যা নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিরোধী শিবির।
ছবিটা কিছুটা এইরকম..বিধাননগর পুরসভার তৃণমূল নেতা ও চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত বলেছেন, 'যদি কেউ ভদ্রভাবে বসো বসো। যদি না বসতে পারো, এই যে আমি বেরিয়ে চলে যাব কিন্তু, বলে দিলাম'। প্রবল উত্তেজনা.. দুই পক্ষের ধস্তাধস্তি থেকে চেয়ার ছোড়াছুড়ি! রক্তদান শিবির ঘিরে কার্যত রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটল রাজারহাটে। সমাজসেবার অনুষ্ঠানে একেবারে সম্মুখসমরে নামল তৃণমূলেরই দুই গোষ্ঠী। রাজারহাটের লস্করআটি বাজারে, তৃণমূল নেতা ও বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্য়ান সব্যসাচী দত্তের উপস্থিতিতেই, তাঁর দুই অনুগামী বাহার আলি লস্কর ও ইজাজুল হকের গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে বাধল তুলকালাম!
স্থানীয় সূত্রে খবর, রাজারহাট লস্করআটি এলাকায় তৃণমূলেরই দুই শিবির। যার একদিকে রয়েছেন বাহার আলি লস্কর ও অন্যদিকে ইজাজুল হক ওরফে কালো। তবে, দুই গোষ্ঠীরই মাথায় রয়েছেন তৃণমূল নেতা ও বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্য়ান সব্যসাচী দত্ত। রবিবার, এই এলাকায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে 'লস্করহাটি যুবক বৃন্দ'। স্থানীয় সূত্রে খবর, বকলমে যার নেতৃত্বে তৃণমূলের এই দুই গোষ্ঠী। কিন্তু কর্মসূচি শুরুর আগেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয় প্রবল বচসা। ক্রমেই তা গড়ায় ধস্তাধস্তিতে। মঞ্চ থেকেই দুই পক্ষকে থামানোর চেষ্টা করতে দেখা যায় তৃণমূল নেতৃত্বকে।
সব্যসাচী দত্ত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা, সাবির আলি মণ্ডল বলছেন, 'আমি প্রত্যেককে অনুরোধ করছি, এটা সব্যসাচী দত্তের প্রোগ্রাম। আমরা একটা দল, আমরা তৃণমূল করি, মাথা উঁচু করে। কিছু বহিরাগত এসে ডিস্টার্ব করলে আমরা কোনওরকম সহ্য করব না।' শান্তি-বার্তা দিতে মঞ্চে ওঠেন খোদ তৃণমূল নেতা ও বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্য়ান সব্যসাচী দত্তও। কিন্তু কে শোনে কার কথা। পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার বদলে আরও বাড়তে থাকে উত্তেজনা।
পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছোয়, ঘটনাস্থলে আসে টেকনো সিটি থানার পুলিশ। এর কিছুক্ষণ পর, মঞ্চে ডেকে আনা হয় দুই গোষ্ঠীর নেতাকে। মঞ্চেই বাহার আলি লস্কর ও ইজাজুল হকের মধ্যে হাত মিলিয়ে দেন সব্যসাচী দত্ত। বিধাননগর পুরসভার তৃণমূল নেতা ও চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত বলেছেন, 'কখনও কখনও ভাইয়ে-ভাইয়ে একটু হয়তো মতবিরোধ হয়। না আমি কালোর পক্ষে, না আমি বাহারের বিপক্ষে। কালো আর বাহার যেরকম ছিল, সেরকমই থাকবে, সেরকই আছে। আগামী দিনেও সেইভাবেই থাকবে। যদি হই সুজন, তেঁতুল পাতায় ন'জন।'
যদিও, বাইরে বেরিয়ে, সাংবাদিকদের প্রশ্ন বিষযটি এড়িয়ে যান তিনি। এই ঘটনায় রাজ্যের শাসক দলকে নিশানা করতে দেরি করেনি বিরোধী শিবির। উত্তর শহরতলির বিজেপির সহ সভাপতি স্বপন রায়চৌধুরী বলছেন, 'এ তো সবে শুরু। ২০২৬ এর নির্বাচন সামনে এসে গেছে।সব্যসাচী দত্তের অনুগামীরা এখন কে কত পয়সা তুলবে, সেই নিয়ে মারপিট লেগে গেছে। আগামীদিনে এমন জায়গায় পৌঁছে যাবে, মার্ডার না হয়ে যায়। শুধু পয়সা। শুধু তোলাবাজি। কারণ সবথেকে বড় তোলাবাজি সব্যসাচী দত্ত নিজে।'
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে এমন ঘটনায় নতুন করে অস্বস্তিতে শাসক শিবির।






















