Satabdi Roy: শতাব্দীর সামনেই অঞ্চল সভাপতিকে বেধড়ক মারধর তৃণমূলেরই একাংশের, সাংসদের গাড়ি লক্ষ্য করে উড়ে এল জুতো!
TMC inner clash: খোদ তৃণমূল সাংসদ দাঁড়িয়ে রয়েছেন, আর তাঁর সামনে তৃণমূলেরই অঞ্চল সভাপতিকে মারধর!

কলকাতা: বীরভূমে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের সামনেই চরমে উঠল তৃণমূলের কোন্দল। সাংসদের সামনেই দলের একাংশের হাতে বেধড়ক মার খেলেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। আর এই দ্বন্দ্বের নেপথ্য়েও সেই অনুব্রত মণ্ডল বনাম কাজল শেখ গোষ্ঠীর লড়াই। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।
খোদ তৃণমূল সাংসদ দাঁড়িয়ে রয়েছেন, আর তাঁর সামনে তৃণমূলেরই অঞ্চল সভাপতিকে মারধর! বাঁশের খোঁচা! অঞ্চল সভাপতির ভাইকে চড়, থাপ্পড়, ঘুষি, লাথি! আক্রান্ত নেতাকে বাঁচাতে গেলে, তৃণমূল সাংসদের গাড়ি লক্ষ্য করে উড়ে আসে জুতো! গোটা ঘটনায়, ফের একবার সামনে চলে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। অস্বস্তিতে সাংসদ নিজেও!
বৃহস্পতিবার, সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের কোমা গ্রাম পঞ্চায়েতে SIR ক্য়াম্প পরিদর্শনে গিয়েছিলেন শতাব্দী রায়। সেই সময় তাঁর সঙ্গেই ছিলেন, অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত, তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি বলরাম বাগদি। অভিযোগ করা হচ্ছে, তৃণমূল সাংসদের সামনেই হঠাৎ করেই তাঁর ওপর হামলা চালায়,সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি নুরুল ইসলামের লোকজন। নুরুল ইসলাম কাজল শেখের ঘনিষ্ঠ বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
২ পক্ষের সংঘর্ষে ঝরে রক্ত। এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সাংসদ অভিনেত্রী শতাব্দী রায় বলেন, 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তো থাকবেই, আছেই। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বর সঙ্গে এই লোকগুলো তো যুক্ত। যে লোকগুলোর নাম বললাম, যারা অন্য় দলের।' এরপরে সাংবাদিকের তরফ থেকে শতাব্দীকে প্রশ্ন করা হয়, তাঁর কথা কেউ আদৌ শোনেননি কেন? তখন শতাব্দী বলেন, 'না, না, আমি কোনও কথা শোনানোর চেষ্টাই করি না। আমি কোথায় চেষ্টা করলাম? আমি তো জানার চেষ্টা করছিলাম কী হচ্ছে'।
আলিপুরদুয়ারেও চরমে উঠল তৃণমূলের প্রাক্তন বনাম বর্তমান ব্লক সভাপতির বিবাদ। ২৬-শে অগাস্ট কুমারগ্রামে তৃণমূলের ব্লক সভাপতির পদ থেকে ধীরেশচন্দ্র রায়কে সরিয়ে, নতুন সভাপতি করা হয় সুদয় নার্জিনারিকে। বুধবার দেখা যায়, ব্লক তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে আসবাবপত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন প্রাক্তন ব্লক সভাপতি ধীরেশচন্দ্র রায়। তিনি এই বিষয়ে বলেন, 'ব্লক কার্যালয়ের প্রত্য়েকটা কাঠ আমি নিজের হাতে নিয়ে গিয়ে সেখানে করেছি। সেখানে যে এতো ফার্নিচার সাজানো আছে, সেগুলো আমার নিজের। নিজের খরচে।' প্রাক্তন ব্লক সভাপতি ফার্নিচার নিয়ে যেতেই., গোবর জল দিয়ে তৃণমূল কার্যালয় শুদ্ধিকরণ করতে দেখা যায় তৃণমূল কর্মীদের একাংশকে। সব মিলিয়ে অস্বস্তি শাসক শিবির।























