Kalyan Banerjee: 'মমতাদিকে শক্তি দিও মা, যেন বাংলার অসুর দমন করতে পারে', দেবীর দুর্গার সামনে কেঁদে প্রার্থনা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের
Kalyan Banerjee: সন্ধিপুজো শেষে দেবীর দুর্গার সামনে কেঁদে ভাসালেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

শ্রীরামপুর: আজ মহাষ্টমী। ১০৮টি পদ্ম আর প্রদীপ সাজিয়ে দেবী দুর্গার আরাধনা। মণ্ডপে মণ্ডপে অষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলী। মাইকে স্তোত্রপাঠ শুনে কেউ কেউ মনে মনে মায়ের কাছে অঞ্জলি দেবেন। গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে দুপুরে হয়েছে সন্ধিপুজো এবং বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে আজ বিকেলে সন্ধিপুজো হবে। এদিকে, পুজোর আনন্দে গা ভাসালেন রাজনীতিবিদরাও। সন্ধিপুজো শেষে দেবীর দুর্গার সামনে কেঁদে ভাসালেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মায়ের কাছে কেঁদে প্রার্থনা সাংসদের।
প্রাণের উৎসবে অন্য মেজাজে রাজনীতিক। দেবীর সামনে কেঁদে ভাসালেন শ্রীরামপুরের সাংসদ। চণ্ডীপাঠ করতে করতেই কাঁদতে থাকেন তৃণমূলের এই বর্ষীয়ান সাংসদ।
এরপর সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে তৃণমূল নেতা বলেন, 'মা সকলকে সুস্থ রাখুন, ভাল রাখুন। সারা বছর মায়ের অপেক্ষায় থাকি। মায়ের আশীর্বাদের দয়ায় আমরা থাকি। মা যেন শান্তিরূপেণ সংস্থিতা হয়ে শান্তি বজায় রাখেন। সারা পশ্চিমবঙ্গকে ভাল রাখুন, সব ধর্মের মানুষদের তিনি ভাল রাখুন, এই প্রার্থনা করি। একটা ভাল সংস্কৃতির রাজনীতি যেন তৈরি হয়। যে সব অসুররা রাজনীতির বাতাবরণ নষ্ট করছে মা যেন তাঁদের দমন করেন। মমতাদির উপর যেন মায়ের আরও আশীর্বাদ থাকে। ২০২৬-এ নির্বাচন আছে, মা যেন সব শক্তি যেন মমতাদিকে যেন পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটা অসুরকে মারতে পারে। জনসমর্থে সব শুভ মানুষ যেন অধিষ্ঠিত হয় বাংলায়।'
গতকাল ঢাক বাজাতেও দেখা যায় তাঁকে।
এদিকে, আজ ভোরে মঙ্গলারতি দিয়ে বেলুড় মঠে শুরু হয় অষ্টমী পুজো। প্রথমে পুষ্পাঞ্জলি। দেবীকে মৃন্ময়ী রূপে আরাধনার পাশাপাশি কুমারীর মধ্যে মাতৃরূপ দর্শন, এই প্রথা মেনেই প্রতিবারের মতো এবারও বেলুড় মঠে কুমারী পুজোর আয়োজন করা হয়। ৫-৭ বছর বয়সীদের নির্বাচন করা হয় কুমারী পুজোর জন্য। ১৯০১ সালে সারদা মায়ের উপস্থিতিতে ৯ জন কুমারীকে পুজো করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। সেই থেকেই চলে আসছে এই প্রথা। কুমারী পুজো দেখতে সকাল থেকেই বেলুড় মঠে ভিড়। এবারের কুমারী ৫ বছর ২ মাস বয়সি শ্রীনিকা মুখোপাধ্যায়। উমা রূপে পূজিতা বেলুড়ের ছোট্ট শ্রীনিকা। এরপর বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মেনে বেলুড় মঠে সন্ধিপুজো শুরু হবে বিকেল ৫টা ৪৩ মিনিট থেকে, চলবে সন্ধে ৬টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত। বেলুড় মঠের সদাব্রত ভবনে সাধারণের জন্য আজও দুপুরে ভোগ বিতরণ করা হবে। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী, পুজোর ৩ দিন সারা দিন বেলুড় মঠে সাধারণের অবারিত দ্বার।























