Calcutta High Court:সিঙ্গল বেঞ্চের পর ডিভিশন বেঞ্চ, ফের ধাক্কা নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত কাঁথির তৃণমূল ছাত্রনেতার
Setback For TMC Student Leader: সিঙ্গল বেঞ্চের পর ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত কাঁথির তৃণমূল ছাত্রনেতার। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের উপর হস্তক্ষেপে নারাজ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
কলকাতা: সিঙ্গল বেঞ্চের (single bench) পর ডিভিশন বেঞ্চেও (division bench) ধাক্কা নাবালিকা ধর্ষণে (minor rape) অভিযুক্ত কাঁথির তৃণমূল ছাত্রনেতার (TMCP Leader)। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের উপর হস্তক্ষেপে নারাজ প্রধান বিচারপতির (chief justice of calcutta high court) ডিভিশন বেঞ্চ। অভিযুক্ত শুভদীপ গিরি চাইলে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের দ্বারস্থ হতে পারেন, নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
আর কী?
কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, আত্মসমর্পণ করলেও জামিন দেওয়া যাবে না অভিযুক্ত শুভদীপ গিরিকে। সঙ্গে নির্দেশ, তাঁকে গ্রেফতারির সব রকম চেষ্টা করতে হবে পুলিশকে। অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেফতারের চেষ্টা করতে হবে। তিনি যেন নিম্ন আদালতে জামিন না পান, তার চেষ্টা করতে হবে পুলিশকে। জানুয়ারির শেষ দিকে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্রনেতা। তার পরই এই নির্দেশ।
প্রেক্ষাপট...
কাঁথিতে নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় তদন্তকারী আধিকারিকের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট হয়েছিল হাইকোর্ট। অভিযুক্তের প্রতি গা ছাড়া মনোভাব দেখানো হচ্ছে বলে তদন্তকারী আধিকারিককে ভর্ৎসনা করে মন্তব্য করেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা করতে হবে পুলিশকে, একথা জানিয়ে কড়া নির্দেশও দেয় আদালত। আদালতের নির্দেশের পরও বাড়িতে হামলা হয়েছে, তারপরেও পুলিশ পিকেট বসানো হয়নি কেন বলেও প্রশ্ন তোলে হাইকোর্ট। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে,প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা শুভদীপ গিরি। প্রসঙ্গত, গত বছর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেলিংয়ের অভিযোগে কাঁথির তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা শুভদীপ গিরির নাম জড়ায়। ১০ জানুয়ারি কাঁথির মহিলা থানায় টিএমসিপি নেতা শুভদীপ গিরি এবং তাঁর মা-বাবার নামে FIR দায়ের করে নাবালিকার পরিবার। পকসো আইন-সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। কিন্তু, সেই এফআইআরের প্রেক্ষিতে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। উল্টে পুলিশের প্রত্যক্ষ মদতে মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই প্রেক্ষাপটেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় নাবালিকার পরিবার। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা পুলিশের তদন্তকারী অফিসারকে ভর্ৎসনা করে বলেন, আপনি অভিযুক্তের প্রতি দুর্বলতা দেখাচ্ছেন। অভিযুক্ত কোথায় আছেন, আপনি তা জানেন। ইচ্ছে করে ধরছেন না! আপনার গা ছাড়া মনোভাব আদালতের নজর এড়াচ্ছে না!
আরও পড়ুন:তিন চার দিনে অন্তত ৪ ডিগ্রি বাড়বে তাপমাত্রা, এবারের মতো শীত-বিদায় ?