TMC on Dilip Ghosh: 'বন্ধু' দিলীপের সমব্যথী তৃণমূল, বঞ্চনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর বার্তা
Dilip Ghosh Update: এ বার ভিন রাজ্যে দলকে শক্তিশালী করার জন্য দিলীপ ঘোষকে দায়িত্ব দিল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। ৭টি রাজ্য এবং ১টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শক্তিশালী বুথ গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
দীপক ঘোষ, বিজেন্দ্র সিংহ ও সুমন ঘরাই, কলকাতা: বাংলার বাইরে দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হচ্ছে দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh)। সেই নিয়ে জল্পনার মধ্যেই দিলীপের সমব্যথী হয়ে উঠছেন তৃণমূল (TMC) নেতারা। তাঁদের মতে, বিজেপিতে (BJP) বঞ্চিত 'বন্ধু' দিলীপ ঘোষ। বাংলা থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা উচিত তাঁর। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতিকে সাত রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়ার পরে এই মন্তব্যই শোনা গেল ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) মুখে। ধন্যবাদ জানিয়ে পাল্টা জবাব দিতে ছাড়েননি দিলীপ ঘোষ।
দিলীপের সমব্যথী তৃণমূল!
এ বার ভিন রাজ্যে দলকে শক্তিশালী করার জন্য দিলীপ ঘোষকে দায়িত্ব দিল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। ৭টি রাজ্য এবং ১টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শক্তিশালী বুথ গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁকে। আর মোদি-শাহ-নাড্ডাদের এই সিদ্ধান্তের পরই, রাজনৈতিক মহলে একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, তাহল
দিলীপ ঘোষের প্রোমোশন হল? না কি ডিমোশন? ঘুরিয়ে কি বঙ্গ বিজেপিতে কার্যত নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হল দিলীপ ঘোষকে? রাজ্য বিজেপির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী যাতে নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, সেজন্যই কি কৌশলে বাংলা থেকে দূরে পাঠিয়ে দেওয়া হল তাঁকে?
এই নিয়ে জল্পনা যখন জোরাল হচ্ছে, সেই সময় তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের মধ্যে হঠাৎ করে দিলীপ-প্রীতি দেখা যেতে শুরু করেছে। কেউ বলছেন, দিলীপ ঘোষ বন্ধু। কেউ আবার তাঁকে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করার পরামর্শ দিচ্ছেন। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, "দিলীপ ঘোষ আমার বন্ধু। তাঁর জন্য দুঃখ হয়। দলের কাছে দিলীপ ঘোষ বঞ্চিত। দিলীপ ঘোষের প্রতি হয়ত অবিচার করা হচ্ছে।"
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: রাখঢাক আসে না তাঁর, মনের কথাই মুখে, তাই কি 'রাজ্যছাড়া' হতে হল দিলীপকে!
তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, "দিলীপবাবুকে দেখতে হবে দল তাঁকে অসম্মান করছে, না সম্মান করছে? দলবদলুরা নিজেদের ধান্ধায় তাঁকে সরিয়েছে। আপনি বাংলা থেকে আপনাকে সরানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করুন।"
তবে তৃণমূলের কৌশলী বার্তার পাল্টা জবাব দিয়েছেন দিলীপ। তাঁর কথায়, "ধন্যবাদ। তবে ওঁদের আমাকে নিয়ে না ভাবলেও চলবে। ওঁরা যদি মনে করেন আমি মর্নিং ওয়াক করব না, মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলব না, তাহলে ভুল করছেন। আমি বাংলার রাজনীতিতে যেমন সক্রিয় ছিলাম, তেমনই থাকব।"
বঙ্গ বিজেপি-তে ব্রাত্য দিলীপ!
২০২৪-এর লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে বিজেপি-র সশক্তিকরণ অভিযানের অন্যতম সদস্য করা হয়েছে দিলীপ ঘোষকে। তাঁকে, বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, মিজোরাম, সিকিম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড এবং আন্দামান নিকোবরে শক্তিশালী বুথ কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বছর ঘুরলেই বাংলায় পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে দিলীপ ঘোষ নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব, বঙ্গ রাজনীতিতে পড়ে কি না, তার উত্তর সময়ই দেবে।