High Madrasa: নন্দীগ্রাম হাই মাদ্রাসায় নিরঙ্কুশ জয় তৃণমূলের, ৬ আসনই জোড়াফুলের দখলে
Nandigram News: সম্প্রতি নন্দীগ্রামে সমবায় সমিতির ভোটে বিজেপির কাছে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূল। তার পর হাই মাদ্রাসা নির্বাচনে এই জয় স্বস্তি দিল তাদের।
বিটন চক্রবর্তী, নন্দীগ্রাম: নন্দীগ্রামের (Nandigram News) মহম্মদপুর হাই মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির (High Madrasa managing Committee) ভোটে নিরঙ্কুশ জয় তৃণমূলের (TMC Updates)। সেখানে ছয়টি আসনের মধ্যে ছয়টিতেই জয় শাসক দলের। বিজেপি-র (BJP)প্রার্থী না থাকলেও বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী দিয়েছিল। মহম্মদপুর হাই মাদ্রাসায় আগে আলাদা প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূলের দুই শিবির। পরে জেলা নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে দুই শিবির থেকে ছয় জন প্রার্থী ঠিক করে দেওয়া হয়।
নন্দীগ্রামে হাই মাদ্রাসা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় তৃণমূলের
নির্বাচের ফল ঘোষণার পরই এ দিন উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভাঙে তৃণমূল কর্মীদের। দলের সমর্থনে স্লোগান দেন তাঁরা। রব ওঠে “জিতেছে জিতেছে, তৃণমূল জিতেছে। সিপিএম গোহারা হেরেছে।” গত সপ্তাহে নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়ায় সমবায় সমিতির ভোটে জয়লাভ করে বিজেপি। তার এক সপ্তাহ পর হাই মাদ্রাসার এই জয় তৃণমূলকে স্বভাবতই অক্সিজেন জোগাচ্ছে।
সম্প্রতি নন্দীগ্রামে সমবায় সমিতির ভোটে বিজেপির কাছে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূল। তার পর হাই মাদ্রাসা নির্বাচনে এই জয় স্বস্তি দিল তাদের। কারণ হাই মাদ্রাসা পরিচালন সমিতির নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া নিয়েও অস্বস্তি দেখা দেয় দলে। দারুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির আসন সংখ্যা ছয়। প্রত্যেকটি আসনে লড়ার জন্য, এক দিকে যেমন নন্দীগ্রামের ১নম্বর ব্লক তৃণমূলের তরফে মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়। তেমনই নিজেদের বিক্ষুব্ধ তৃণমূল ঘোষণা করে, মনোনয়ন জমা দেয় অন্য গোষ্ঠী।
মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে মোট ছয় জনের নামে সিলমোহর পড়ে
তৃণমূল সূত্রে খবর,মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে তৃণমূলের জেলা কমিটি। তার আলাপ-আলোচনা করে দুই শিবিরের তিন জন করে মোট ছয় জনের নাম চূড়ান্ত করে তৃণমূল। ব্লক কমিটির তিন জনের প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করা হয়, যাতে ভোট কাটাকাটিতে অন্য কেউ সুযোগ না পেয়ে যায়। মহম্মদপুর হাইমাদ্রাসার ভোটে বিজেপি প্রার্থী না দিলেও, ছয়টি আসনে সমঝোতা করে প্রার্থী দিয়েছিল বাম-কংগ্রেস। তারা একটিও আসন পায়নি।
হাই মাদ্রাসার নির্বাচনের আগে দলের অন্দরের বিভাজন নিয়ে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করে বিজেপি। কড়া ভাষাতেই তার পাল্টা জবাব দেয় জোড়াফুল শিবির। তমলুক সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের সভাপতি সেই সময় বলেন, "বিজেপি আগে নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাক, তারপর তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলবে।"