Coochbehar News: তপ্ত শীতলকুচি কলেজে ঝরল রক্ত, শিরোনামে তৃণমূলের 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব'
TMC Infighting: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত শীতলকুচি কলেজ, ঝরল রক্ত। প্রাথমিক ভাবে শোনা যাচ্ছে, টিএমসিপি জেলা সভাপতিকে গো-ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP Infighting) গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত শীতলকুচি কলেজ (Sitalkuchi College), ঝরল রক্ত। প্রাথমিক ভাবে শোনা যাচ্ছে, টিএমসিপি জেলা সভাপতিকে গো-ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়। টাকার বিনিময়ে কলেজে ইউনিট খুলছেন টিএমসিপি জেলা সভাপতি, অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ টিএমসিপিরই অন্য গোষ্ঠীর। অভিযোগ অস্বীকার করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি।
নতুন নয়...
অতীতেও শাসকলদের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জল্পনায় তোলপাড় হয়েছে বঙ্গ রাজনীতি। কয়েকদিন আগেই যেনমন পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ঘিরে সামনে চলে আসে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়টি। বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় পঞ্চায়েতে তৃণমূলের নির্বাচিত প্রার্থীকে হারিয়ে প্রধান হলেন দলেরই আর এক সদস্য। দলবিরোধী কাজের অভিযোগে নবনির্বাচিত প্রধান ও অঞ্চল সভাপতি-সহ ৩ জনকে শোকজ করেন তৃণমূল । এই পঞ্চায়েতে ২০টি আসনেই জয়ী হয় শাসক দল।প্রধান হিসাবে বিবেক শী-র নাম প্রস্তাব করে তৃণমূল নেতৃত্ব । বোর্ড গঠনের দিন দলের নির্দেশ না মেনে প্রধান হিসাবে প্রদীপ পালের নাম প্রস্তাব করেন তৃণমূল সদস্যদের একাংশ। তার আগে, বারাসাতের কদম্বগাছিতেও বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে এক ছবির সাক্ষী থেকেছে এই রাজ্য। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে গুলি চলে সেখানে। তৃণমূল কর্মীকে গুলি করার অভিযোগে যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে গ্রেফতার করে দত্তপুকুর থানার পুলিশ। তৃণমূল কর্মী অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেও এই ঘটনার প্রতিবাদে টাকি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলের একাংশ। যুব তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতারের পর অবরোধ ওঠে। ৩০ আসনের কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতে ২৪টি আসন পেয়েছিল তৃণমূল। আইএসএফ ৪, কংগ্রেস ও নির্দল একটি করে আসন দখল করে। এরপর গতকাল দলের হুইপ না মেনে, আইএসএফের সমর্থনে ১৬-১৪ ব্যবধানে তৃণমূলের প্রধান পদপ্রার্থীকে পরাজিত করেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল প্রার্থী। এরপরই গুলি চলার ঘটনা ঘটে। আইএসএফের সমর্থনে বোর্ড গড়া নিয়ে আপত্তি থাকায় যুব তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মাহবুব হাসান ওরফে নয়ন গুলি চালান বলে অভিযোগ। চাঁচলের ক্ষেত্রে আবার বোর্ড গঠন পর্যন্ত বিষয়টি গড়ায়নি। তার আগেই প্রকাশ্যে চলে আসে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। সেখানে উপপ্রধান পদ নিয়ে আকচাআকচি শুরু হয়েছিল বলে শোনা যায় যা গড়ায় ধস্তাধস্তিতে। 'তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী হেলি খাতুনকে উপপ্রধান করতে বলেছে জেলা নেতৃত্ব। দলের সিদ্ধান্ত না মেনে আরেকজন জয়ী প্রার্থীকে উপপ্রধান করতে চাইছে ব্লক নেতৃত্ব', এমনই অভিযোগ ছিল জয়ী প্রার্থী হেলি খাতুনের অনুগামীদের। পাল্টা বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠী।
আরও পড়ুন:কোন কোন রোগে আক্রান্তরা ট্রেন যাত্রায় পেতে পারেন ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়?