Nadia: কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে অশিক্ষক কর্মচারী সমিতির ঘর দখলের চেষ্টার অভিযোগ, নিশানায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ
Nadia News: অশিক্ষক কর্মচারী সমিতির ঘর দখলের চেষ্টার অভিযোগ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে। রেজিস্ট্রারের ঘর ঘেরাও করে বিক্ষোভ বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী অশিক্ষক কর্মচারীদের।
সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: নদিয়ার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে (Kalyani University), অশিক্ষক কর্মচারী সমিতির ঘর দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ দেখাল বামপন্থী অশিক্ষক কর্মচারীদের একাংশ। যদিও ঘর দখলের চেষ্টার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএমসিপি নেতা। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন রেজিস্ট্রার (registrar)।
ঘর 'দখলের চেষ্টা'
বামপন্থী অশিক্ষক কর্মচারী সমিতির ঘর, অথচ তার সামনে লাগানো রয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ব্যানার-ফেস্টুন! উড়ছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পতাকা!এরই প্রতিবাদে শিক্ষাঙ্গনে আছড়ে পড়ল আন্দোলনের ঢেউ। স্লোগান-বিক্ষোভে সরগরম হয়ে উঠল কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের বিরুদ্ধে ঘর দখলের চেষ্টার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায় বামপন্থী অশিক্ষক কর্মচারীদের একাংশ।
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী কর্মচারী সমিতির নেতা মনোজ কুমার সিংহের কথায়, ‘আমাদের ঘরে ঢোকার গেটের সামনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পতাকা টাঙানো রয়েছে। অনৈতিকভাবে ঘর দখলের চেষ্টা চলছে। এগুলি সরিয়ে দেওয়া হোক।’
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের একাংশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের ঘর ঘেরাও করেন বামপন্থী অশিক্ষক কর্মচারীরা। যদিও ঘর দখলের চেষ্টার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা সজল ঘোষের দাবি, ‘কোনও ঘর দখল করা হয়নি, শুধুমাত্র গেটে ব্যানার লাগিয়েছি। কারণ ওই ঘরের পাশে একটা পরিত্যক্ত ঘর ছিল বিজ্ঞান বিভাগের। কর্তৃপক্ষ আমাদের বলেছেন, আমরা সেগুলো খুলেও নেব।’
আরও পড়ুন: Justice Abhijit Gangopadhyay : 'বাংলায় বিচারব্যবস্থাকে সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা চলছে' বিস্ফোরক বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
অশিক্ষক কর্মচারী সমিতির ঘর দখলের চেষ্টার অভিযোগ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে। রেজিস্ট্রারের ঘর ঘেরাও করে বিক্ষোভ বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী অশিক্ষক কর্মচারীদের। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবাংশু রায় বলেন, ‘ছাত্রদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলব। উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ রেজিস্ট্রারের আশ্বাসে, কর্মচারী সমিতির সদস্যরা আপাতত বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন। দ্রুত আশ্বাস কার্যকরী না হলে ভবিষ্যতে বড়সড় আন্দোলনে পথে হাঁটার ইঙ্গিত দিয়েছেন বামপন্থী অশিক্ষক কর্মচারীরা।