Tollygunge Fraud Case: মন্ত্রীদের নামে জাল লেটারহেড, বিশ্ব বাংলার লোগো! লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার মহিলা
Tollygunge: অভিযোগকারিণী দীপালি মিত্রের কথায় , হাত দেখানোর জন্য আসে। আমি জ্যোতিষী। বলে, আপনি কেন ভাড়া বাড়িতে আছেন? গাড়িতে নিয়ে যায় গড়িয়হাটে। বলে লিজে পাইয়ে দেব। ঘোরায়। টাকা নেয়।
পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: মন্ত্রী-বিধায়কদের নামে জাল লেটারহেড ও বিশ্ব বাংলার জাল লোগো ব্যবহার করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল। টালিগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার অভিযুক্ত মহিলা। অভিযোগ, সরকারি আবাসনে ফ্ল্যাট পাইয়ে দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। মন্ত্রী-বিধায়করা জানিয়েছেন, সমস্ত নথিই জাল।
ফাঁস প্রতারণা চক্র: তৃণমূলের এক সাংসদ, দুই মন্ত্রী, এক বিধায়ক। অভিযোগ, এঁদের নাম ব্যবহার করে, সই বা লেটারহেড জাল করে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা করা হয়েছে। এক ব্যক্তির সন্দেহ হওয়ায় তিনি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ফাঁস হয় প্রতারণা চক্র। টালিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত মৌ গুহকে।
৮ জনকে এইভাবে ঠকিয়ে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ। যে মহিলা এইভাবে জাল বিছিয়েছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, মন্ত্রী, সাংসদের কোটায় বা সাহায্যে সরকারি আবাসনে ফ্ল্যাট পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা করার। কী পরিচয়ে প্রতারণা? পুলিশ সূত্রে দাবি, অভিযুক্ত মহিলা কখনও নিজেকে রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশিস কুমারের আপ্ত সহায়ক বলে নিজের পরিচয় দিয়েছেন।
একাধিক প্রতারণা: কখনও অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের লেটারহেড জাল করেছেন। কখনও মেয়র ও পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সই জাল করা হয়েছে। আবার কখনও বলেছেন, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোটা থেকে তিনি ফ্ল্যাট পাইয়ে দেবেন। অভিযোগ, প্রতারণার কারবারে বিশ্ব বাংলার লোগোও জাল করা হয়। প্রতারিত হয়েছেন গড়িয়াহাটের বাসিন্দা মিত্র পরিবার। স্বামী-স্ত্রী অরুণাভ ও দীপালি মিত্র ও তাঁদের মেয়ে অন্বেষা প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
অভিযোগকারিণী দীপালি মিত্রের কথায় , হাত দেখানোর জন্য আসে। আমি জ্যোতিষী। বলে, আপনি কেন ভাড়া বাড়িতে আছেন? গাড়িতে নিয়ে যায় গড়িয়হাটে। বলে লিজে পাইয়ে দেব। ঘোরায়। টাকা নেয়। দেবাশিস কুমারের আপ্ত সহায়ক পরিচয় দেয়, বলে উনি টাকা নেবেন না, একটা সোনার চেন দিন।
আরও এক অভিযোগকারিণী অন্বেষা মিত্র জানিয়েছেন, আমার থেকে ৮৮ হাজার টাকা নেয়। বলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোটা থেকে ফ্ল্যাট পাইয়ে দেবে। অভিযোগকারিণী দীপালির স্বামী অরুণাভকে আবার ব্যবসা করার জন্য ৫৫ লক্ষ টাকার চেক দেওয়া হয়েছিল। তাতেই সন্দেহ হয় মিত্র পরিবারের। তারা যোগাযোগ করে টালিগঞ্জ থানার পুলিশের সঙ্গে।
রবিবারই গ্রেফতার করা হয় ৩৫ বছরের মৌ গুহকে। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন, এটা তো নতুন ট্রেন্ড দেখছি। রবিবার পুলিশ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেচিল। আমার সই জাল করা হয়েছে। সাধারণমানুষকেও বলব, সতর্ক থাকবেন। পুলিশ সূত্রে খবর, যাঁদের নাম জাল নথিতে ব্যবহার করা হয়েছে. তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। জানা গেছে , সব নথি, লেটারহেড জাল।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
