TMC Letter To Governor: রাজভবন অভিযানের আগে সাক্ষাতের সময় চেয়ে রাজ্যপালকে চিঠি তৃণমূলের
West Bengal News: তৃণমূল সূত্রে দাবি, তাদের আগের চিঠির জবাবে রাজ্যপাল লেখেন, তিনি সময় দিতে পারছেন না। তৃণমূলের প্রতিনিধিরা চাইলে উত্তরবঙ্গে আসতে পারেন।
কলকাতা: রাজভবন অভিযানের আগে সাক্ষাতের সময় চেয়ে রাজ্যপালকে (Governor C V Anand Bose) চিঠি দিল তৃণমূল কংগ্রেস। দলীয় সূত্রে খবর, রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন সি ভি আনন্দ বোসকে সময় চেয়ে চিঠি লিখেছেন।
কী রয়েছে এই চিঠিতে?
তৃণমূল সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গ সফর সেরে কলকাতায় ফিরলে সাক্ষাতের জন্য সময় দিন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, আমরা অপেক্ষায় আছি, আশা করি কবে ফিরবেন, জানাবেন। তৃণমূল সূত্রে দাবি, তাদের আগের চিঠির জবাবে রাজ্যপাল লেখেন, তিনি সময় দিতে পারছেন না। তৃণমূলের প্রতিনিধিরা চাইলে উত্তরবঙ্গে আসতে পারেন। সার্কিট হাউস বা ত্রাণ শিবিরে এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারেন। জবাবি চিঠিতে তৃণমূল জানিয়েছে, এটা অবাস্তব ও দুর্ভাগ্যজনক প্রস্তাব। এই জমিদারি সংস্কৃতির বিরুদ্ধেই তাদের লড়াই।
দিল্লির আঁচ এবার বাংলায়। প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার দূরের দিল্লির কৃষি ভবনের তুলকালামের রেশ এবার কলকাতায় রাজভবনে? দিল্লির মাটি থেকেই 'রাজভবন চলো' অভিযানের ডাক দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তৃণমূলের সেই কর্মসূচি। দুপুর আড়াইটেয় রবীন্দ্র সদনে জমায়েত। পার্ক স্ট্রিট, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মিছিল যাবে রাজভবন। কিন্তু, রাজ্যপাল সেখানে থাকছেন না। দিল্লি সফর কাটছাঁট করে আজ সরাসরি উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন রাজ্যপাল। বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করবেন তিনি। রাজভবন সূত্রে খবর, বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠান রাজ্যপাল। পাশাপাশি, সিকিমের পরিস্থিতি নিয়েও সেখানকার রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলেন সি ভি আনন্দ বোস। সূত্রের খবর, বন্যা পরিস্থিতি দেখার পর, সন্ধেয় ফের বাগডোগরা থেকে দিল্লি ফিরে যাবেন তিনি।
মঙ্গলবার সন্ধেয় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর দেখা না পাওয়ার অভিযোগে দিল্লির কৃষি ভবনেই অবস্থানে বসে তৃণমূল। সেখান থেকে তাঁদের টেনে হিঁচড়ে, পাঁজাকোলা করে বার করে নিয়ে যায় পুলিশ। আর এই ঘটনা ঘিরে ধুন্ধুমার চেহারা নেয় রাজধানী। এদিন পুলিশ লাইন থেকে বেরিয়ে অভিষেক বলেছিলেন, 'আজকের প্রতিবাদস্বরূপ দিল্লির মাটি থেকে ৫ অক্টোবর রাজভবন চলো অভিযানের ডাক দিচ্ছি। যাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি হয়ে গণতন্ত্র সম্পর্কে বাংলায় সকাল বিকেল জ্ঞান দিচ্ছেন, যেভাবে দিল্লির বুকে গণতন্ত্র ভুলুণ্ঠিত হয়েছে, রাজ্যপালের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লেখা। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চাইব। যে ৫০ লক্ষ চিঠি দিল্লি নিয়ে এসেছিলাম। সেই চিঠি নিয়ে যাব। ৫ অক্টোবর ১ লক্ষ লোক নিয়ে বেলা ৩টে নাগাদ তৃণমূল কংগ্রেস রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করব।'
আরও পড়ুন: Jalpaiguri News: তিস্তার জলে বানভাসি, ফসল নষ্টের আশঙ্কা কৃষকদের