Visvabharati University: 'জানা উচিত, এভাবে জমি নেওয়া যায় না' মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ বিশ্বভারতীর আইনজীবীর
Birbhum News: একদিকে মুখ্য়মন্ত্রী সরাসরি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। অন্য়দিকে বেনজির ভাষায় মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) আক্রমণ করলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Viswabharati University) আইনজীবী। পাল্টা, বিশ্বভারতীর সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অমর্ত্য সেনের আইনজীবী। আজ বোলপুরের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে দু-পক্ষকে নিয়ে শুনানি হয়। শোনা হয় তাদের বক্তব্য।
মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ: অমর্ত্য় সেনের জমি-বিতর্কে সংঘাতে জড়িয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং রাজ্য় সরকার। একদিকে মুখ্য়মন্ত্রী সরাসরি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। অন্য়দিকে বেনজির ভাষায় মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এই প্রেক্ষাপটে ফের সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী সুচরিতা বিশ্বাস। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতে গিয়ে বলেছেন করিয়ে দেবেন। জানা উচিত, এভাবে জমি নেওয়া যায় না।’’
শুরুটা হয়েছিল নোবেল-জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের জমি-বিতর্ককে কেন্দ্র করে। সম্প্রতি, তাঁর শান্তিনিকেতনের বাসভবনে যান মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। পরের দিন, বিশ্বভারতীর শিক্ষক-পড়ুয়াদের একাংশের সঙ্গে বৈঠক করে নাম না বিশ্ববিদ্য়ালয়ের উপাচার্যকে নিশানা করেছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। তিনি বলেন, “ক্ষমতার জোরে বুলডোজার চালালে আমি সঙ্গে আছি।’’ এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পাল্টা সুর চড়ায় বিশ্বভারতী। নজিরবিহীনভাবে সেখানে বলা হয়, মাননীয়াকে অনুরোধ করব, যে কান দিয়ে না দেখে, বুদ্ধি দিয়ে বিচার করুন। এই অবস্থায়, জমি-বিতর্কে সোমবার, বোলপুরের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে দু-পক্ষকে নিয়ে শুনানি প্রথম হয়। দু-পক্ষের বক্তব্য শোনেন ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক।
বিশ্বভারতীর আইনজীবী সুচরিতা বিশ্বাস বলেন, “ওনার ১ পয়েন্ট ২৫ ডেসিমেল ল্যান্ড, উনি জবরদখল করেছে রেখেন ১ পয়েন্ড ৩৮, এবং বিশ্বভারতীয় নিজের জমিটা উনি নিজের নামে করতে চাইছেন ১৩ ডেসিমেল এক্সট্রা।’’ পাল্টা অমর্ত্য সেনের আইনজীবী গোরাচাঁদ চক্রবর্তী বলেন, “অর্মত্য সেনের বাবা আশুতোষ সেনের এবং তিনি সেই জমি অর্মত্য সেনকে নমিনি করে গিয়েছে। তাই দখলের কোন প্রশ্ন ওঠে না।’’ অমর্ত্য সেনের জমি-বিতর্কে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রাজ্য সরকারের যে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে, তা দিনে দিনে আরও বাড়ছে।