WB By Poll 2022: আর বাকি এক সপ্তাহ, বালিগঞ্জে তুঙ্গে ভোটপ্রচার
WB By Poll: আর বাকি মাত্র কয়েকদিন। সামনের সপ্তাহেই ভোট। তার আগে প্রচারে ব্যস্ত সব শিবিরের প্রার্থীই।
সত্যজিৎ বৈদ্য ও উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: আর বাকি মাত্র কয়েকদিন। সামনের সপ্তাহেই ভোট। ১২ এপ্রিল বালিগঞ্জ (ballygunge) বিধানসভা কেন্দ্রে উপ নির্বাচন। তার আগে প্রচারে ব্যস্ত সব শিবিরের প্রার্থীই।
বর্ষীয়ান মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর ফাঁকা হয়েছে বালিগঞ্জ বিধানসভা আসনটি। সেখানেই ফের ভোট (Election)। উপনির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে প্রধান চারটি দলই। বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপ নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী বিজেপি থেকে আসা তারকা-নেতা বাবুল সুপ্রিয়। পদ্ম শিবিরের হয়ে দাঁড়িয়েছেন কেয়া ঘোষ। সিপিএমের প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। হাত চিহ্নে দাঁড়িয়েছেন কামরুজ্জামান চৌধুরী। ভোট ঘিরে তুঙ্গে উঠেছে প্রচার।
বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষের দাবি, বালিগঞ্জের ভোটে বিজেপিই (BJP) জিতবে। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল (TMC)। বালিগঞ্জে জয় নিয়ে প্রায় নিশ্চিত শাসক শিবির। বালিগঞ্জে যিনি বামপ্রার্থী হয়েছেন তাঁর রয়েছে বলিউড-যোগও। বর্ষীয়ান অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহের ভাইঝি সায়রা শাহ হালিম। তাঁর সমর্থনে ভিডিও বার্তাও পাঠিয়েছেন নাসিরুদ্দিন শাহ। সেই ভিডিও বার্তায় নাসিরুদ্দিন বলেছেন, 'সায়রা একজন সাহসী, দায়বদ্ধ, সংবেদনশীল মানুষ। ও সর্বদা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সমাজে ঘটে যাওয়া অন্যায়গুলির প্রতিবাদ করেছেন।'
তৃণমূলের কটাক্ষ:
মঙ্গলবার যা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বালিগঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বলেন, 'মিঠুন ওনার বোনের জন্য প্রচার করবেন, নাসিরুদ্দিন ভাইজির জন্য প্রচার করবেন, সেটা স্বাভাবিক, তবে নাসিরুদ্দিন বসে খেলা দেখছেন কেন? সরাসরি ময়দানে নামতে পারেন। নাসিরুদ্দিন কেন ব্যক্তিগত কথা বলছেন? এটা তো রাজনৈতিক প্রচার।' এদিন তিলজলা, পার্ক সার্কাস এলাকায় প্রচার করেন সিপিএম (CPM) প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। তৃণমূল ও বিজেপি দুই দলকেই একসঙ্গে বিঁধে তাঁর মন্তব্য, 'আলাদা কিছু মনে করি না, সবাই তো বিজেপি। জেতার বিষয়ে আশাবাদী। স্থানীয় সমস্যা ও কোভিডে জীবনজীবিকার সঙ্কটের বিশয়টি মানুষের সামনে তুলে ধরছি।'
প্রচারে কংগ্রেসও
নিজের মতো করে প্রচারে ময়দানে রয়েছে কংগ্রেসও। হাত শিবিরের প্রার্থী কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, 'এই মুহূর্তে যদি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়, কংগ্রেস ভাল করবেই। বাবুলকে কেউ চাইছে না।'
শেষে কার উপর ভরসা রাখবেন বালিগঞ্জের ভোটাররা? উত্তর মিলবে ১৬ এপ্রিল।