South 24 Parganas Weather: তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা, বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে কি ?
South 24 Parganas Weather Update: আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি চরমে উঠবে। তবে বেশ কিছু জেলার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, আজ কেমন আবহাওয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ?
ভৌগলিক অবস্থান (South 24 Parganas Geographical Situation): দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পশ্চিমবঙ্গের প্রেসিডেন্সি বিভাগের অন্তর্ভুক্ত একটি প্রশাসনিক জেলা। এই জেলার সদরে আলিপুর অবস্থিত। দক্ষিণ ২৪ পরগনার উত্তর দিকে কলকাতা (Kolkata) এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলা (North 24 Parganas) ,পূর্বদিকে বাংলাদেশ,পশ্চিমদিকে হুগলি নদী এবং দক্ষিণদিকে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। এই জেলাটি আয়তনের দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তর এবং জনসংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা।এই জেলার একদিকে কলকাতা মহানগরীর একাংশ, অপরদিকে সুন্দরবন অঞ্চলের বনাঞ্চল।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার আজকের আবহাওয়া (South 24 Parganas Weather Update):
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী রবিবার পর্যন্ত রাজ্যের একাধিক জেলাতেই জারি থাকবে তাপপ্রবাহের দাপট। বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি চরমে উঠবে। তবে বেশ কিছু জেলার বৃষ্টিতে ভেজার সম্ভাবনা রয়েছে।আবহাওয়াবিদদের অনুমান, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কেরল হয়ে ভারতের মূল ভূখণ্ডে বর্ষা ঢুকবে। ইতিমধ্যেই প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়েছে কেরল-সহ দক্ষিণ ভারতের কিছু রাজ্যে এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয় ও অসমে। একই সঙ্গে আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর-পূর্ব ভারতেও মৌসুমী বায়ু ঢুকবে। আগামী রবি-সোমবারের মধ্যে উত্তরবঙ্গ দিয়ে বাংলায় বর্ষা প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তার আগে জারি থাকবে অস্বস্তির আবহ।
দক্ষিণবঙ্গে রবিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। আজ থেকে শনিবার পর্যন্ত পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া এবং হুগলিতে রয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরেও তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি চরমে উঠবে এই জেলাগুলিতে। রবিবারেও দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে তাপপ্রবাহ থাকবে।
উত্তরবঙ্গের মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা থাকবে। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এর কিছু অংশে তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি রয়েছে। শিলিগুড়ি, বাগডোগরাতেও তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি থাকবে শনিবার পর্যন্ত।দার্জিলিঙের পাহাড়েই ২৫ ছুঁই ছুঁই পারদ। ২৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গেছে। দার্জিলিং-এর সমতলে তো বাঁকুড়ার থেকেও বেশি তাপমাত্রা ! বাঁকুড়াতে এদিন তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছে ৪১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বাগডোগরাতে তাপমাত্রা ৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক এর তুলনায় প্রায় ১০ ডিগ্রি বেশি।
এদিকে, শনিবার পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা পূর্ব মেদিনীপুর এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে। রবিবারে বৃষ্টির পরিমাণ ও বিস্তার কিছুটা বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। আগামী কয়েক দিন খুব হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা দার্জিলিং, কালিম্পং-এর পার্বত্য এলাকায়। উত্তরবঙ্গে শনিবার থেকে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু হবে উপরের পাঁচ জেলাতে। রবিবার থেকে উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। হাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ উত্তরবঙ্গের জেলার তাপমাত্রা কেমন ?
দার্জিলিঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কালিম্পঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কোচবিহার জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ সেলসিয়াস।
জলপাইগুড়িতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আলিপুরদুয়ারে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
আজ দক্ষিণবঙ্গের জেলার তাপমাত্রা কেমন ?
বাঁকুড়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বর্ধমানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মেদিনীপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পুরুলিয়াতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
নদিয়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?