Weather Updates: মায়ানমার থেকে বাংলার দিকে এগোচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত, আগামীকাল দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
ঘূর্ণাবর্তের জেরে কাল কলকাতাতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা...
সঞ্চয়ন মিত্র, আবীর দত্ত ও হিন্দোল দে, কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় গুলাব রাজ্যে সেরকম প্রভাব ফেলতে না পারলেও, এবার নিম্নচাপের ভ্রুকুটি। মায়ানমার উপকূলের কাছে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা বাংলার উপকূলের দিকে চলে আসবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তার জেরে, আগামী দু’দিন দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বৃষ্টি হবে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে, ২ মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। কলকাতাতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
উঃ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়াতেও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বুধবারও, বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায়।
সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা হওয়া বইতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মত্স্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় গুলিতে দেখা গিয়েছে প্রশাসনের চূড়ান্ত সতর্কতা।
রবিবারই ওড়িশার উদয়পুরের বিচে জলে নেমে তলিয়ে যান উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের দুই বাসিন্দা -- ২২ বছরের অভ্রদীপ আচার্য ও ২৩ বছরের দেবর্ষি সিংহ। এদিন সকালে অভ্রদীপের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এখনও খোঁজ নেই আরেক যুবকের।
এই পরিস্থিতিতে উপকূল অঞ্চলে বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। দিঘা থেকে মন্দিরমণি, তাজপুর---গোটা সি বিচ ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে। নিউ দিঘায় বিচে ঢোকার রাস্তা দড়ি দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে।
এদিন সকাল থেকেই কখনও হালকা আবার কখনও মাঝারি বৃষ্টিপাত হয় দিঘায়। টানা বৃষ্টিপাতের কথা মাথায় রেখে কাউকে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে আগেভাগেই ফিরতে হয়েছে অনেক পর্যটককেই।
সোমবার সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকখালি, নামখানা-সহ উপকূলবর্তী এলাকায়। দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে এখানেও সতর্কতামূলক প্রচার শুরু করেছে পুরশাসন।
প্রাকৃতিক দুর্যোগকে মাথায় রেখে প্রচার শুরু হয়েছে। উপকূলবর্তী গ্রামগুলোতে প্রচার হচ্ছে।অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা থেকে ইতিমধ্যেই বেশকিছু পরিবারকে উঁচু জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
নামখানার বিডিও শান্তনু সিংহ ঠাকুর বললেন, আগের ঝড়গুলোর থেকে শিক্ষা নিয়েছি। নিচু এলাকা থেকে লোক সরানো হয়েছে। আমরা প্রস্তুত রয়েছি। প্রচার চালাচ্ছি। কিছু বাঁধের ওপর বাড়তি নজর রয়েছে।
পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদেরও।
আরও পড়ুন: শক্তি কমিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত গুলাব, কতটা প্রভাব এ রাজ্যে?
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় গুলাব আছড়ে পড়তেই প্রাণহানি অন্ধ্রে, খোঁজ মিলছে না একাধিকের