Assembly Class for MLA's : বিধানসভায় ক্লাস, সই করেও নাম কাটলেন বিজেপির বিধায়ক, চলল তরজা
Bankim Ghosh : প্রথমে গিয়ে সই করার পরও নাম কেটে এলেন বেরিয়ে। পরে আবার বিজেপি সতীর্থদের সঙ্গে ক্লাসে গেলেন বঙ্কিম ঘোষ।
ঊজ্জ্বল মুখোপাধ্য়ায়, কলকাতা : বিধানসভার (West Bengal Assembly) ভিতরে বিধায়কদের ভূমিকা নিয়ে ওরিয়েন্টেশন কোর্স (Orientation Course) ! সেই কোর্সে প্রথমে যোগ দিলেও, দলের কোনও বিধায়ককে দেখতে না পেয়ে বেরিয়ে এলেন, বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ ! খাতায় সই করলেও কেটে দিলেন নাম। তাঁর দাবি, এই কোর্সের কোনও গুরুত্বই নেই। অথচ পরে যোগ দিয়ে, এই কোর্সের প্রশংসা করলেন আরেক বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) মনোজ টিগ্গা।
আচরণ হবে কেমন ? বোঝাতে ক্লাস
বিধানসভার ভিতরে বিধায়কদের আচরণ কেমন হবে, তা নিয়ে শিক্ষা দান। সেখানে শিক্ষকের ভূমিকায় সৌগত রায়, মানস ভুঁইয়া সহ একাধিক বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ। সেই ক্লাসে গিয়ে, অ্য়াটেনডেন্স শিটে সই করেও নাম কেটে দিলেন, বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ (Bankim Ghosh)!
সই করেও কাটলেন বিধায়ক !
এদিন সকাল ১১টা ২০ তে বিধানসভায় শুরু হয় ওরিয়েন্টেশন কোর্স। তখন ছাত্র সংখ্য়া মাত্র ৪০ জন। ছাত্রদের উপস্থিতি দেখে কিছুটা হতাশ হন অধ্য়ক্ষ। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পড়ুয়া কিছুটা বাড়ে। শ'খানেক হয়। এরইমধ্যে ক্লাসরুমে ঢোকেন, চাকদার বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ। অ্য়াটেনডেন্স শিটে সই করেন, এরপরই দেখেন, আশপাশে কোনও বিজেপি বিধায়ক নেই। সঙ্গে সঙ্গে সই কেটে বাইরে বেরিয়ে আসেন। চাকদার বিজেপি বিধায়ক বলেছেন, 'এখানে যা বলা হচ্ছে, ভিতরে গিয়ে তা হবে না। যাঁরা ট্রেনিং দেবে, তাঁদেরকে দেখেছি অপোজিশন হিসেবে কী দুর্বব্য়বহার করেছে। আবার আজকে তারাই অপোজিশনের সঙ্গে দুব্য়র্বহার করছে। এই প্রশিক্ষণের কোনও মানে হয় না।'
সমালোচনার পর ফের ক্লাসে !
এর কিছুক্ষণের মধ্যেই, দেখা যায়, মনোজ টিগ্গা সহ ৪ জন বিজেপি বিধায়ক ওরিয়েন্টেশন ক্লাসরুমের দিকে যাচ্ছেন। তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে ঢুকে পড়েন বঙ্কিম ঘোষও। বঙ্কিম ঘোষ এই কোর্সের কোনও গুরুত্বই নেই বলে দাবি করলেও, মনোজ টিগ্গা অবশ্য কোর্সের প্রশংসা করেন। বিজেপির মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা বলেছেন, 'এই ধরণের কোর্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সকলের থাকা উচিত।' এদিন ৪টে পর্যন্ত চলে বিধানসভার ওরিয়েন্টেশন কোর্স। ২৯৪ বিধায়কের মধ্যে মেরেকেটে শ'খানেক বিধায়ক করলেন সোমবারের এই বিশেষ ক্লাস। প্রসঙ্গত, গত বার রাজ্য রাজনীতিতে নয়া আলোড়ন ফেলে অধিবেশন 'স্থগিত' করেছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। যা নিয়ে ক্ষোভ দেখান অধ্যক্ষ। রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাতও জোরদার হয়েছিল।
আরও পড়ুন- নজরে নৌশাদের আর্থিক লেনদেন, ভোটের প্রাক্কালে ব্যবসায়ীর সঙ্গে চ্যাট, দাবি কলকাতা পুলিশের