Election Commission: বহুতল বা আবাসনগুলিতে পৃথক ভোটকেন্দ্রের ভবিষ্যৎ কী? নির্বাচনী আধিকারিকদের নতুন করে সমীক্ষার নির্দেশ কমিশনের
EC On Electoral Officer : বহুতলগুলিতে বুথ করা নিয়ে জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের নতুন করে সমীক্ষা করার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন।

রুমা পাল, সৌমিত্র রায়, কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: বহুতলগুলিতে বুথ করা নিয়ে জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের নতুন করে সমীক্ষা করার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে CEO-কে পাঠানো চিঠিতে পরিষ্কার বলা হল, প্রয়োজনীয় জায়গায় বুথ না হলে তার দায় জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদেরকে নিতে হবে। এরই পাশাপাশি, নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ভোটগ্রহণ কেন্দ্র তৈরি নিয়ে আর কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। জেলা নির্বাচনী আধিকারিক-দের রিপোর্ট দেখেই যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা নেবে কমিশন।
বহুতল কিংবা আবাসনগুলিতে পৃথক ভোটকেন্দ্রের ভবিষ্যৎ কী? এই প্রশ্নের উত্তর এখনও স্পষ্ট না হলেও, এ বিষয়ে জেলা নির্বাচনী আধিকারিক অর্থাৎ জেলাশাসকদের রিপোর্টে চূড়ান্ত অসন্তোষ প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। এই নিয়ে কার্যত তাঁদের সতর্ক করল কমিশন। বহুতলগুলিতে ভোটের বুথ করা যায় কি না, তা নিয়ে জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের নতুন করে সমীক্ষা করার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন।বলা হল, ২৫০টি বাড়ি কিংবা ৫০০ জন ভোটার রয়েছেন এমন বহুতল, হাউসিং সোসাইটি, কলোনি, বস্তি এলাকায় সমীক্ষা করে প্রস্তাবিত ভোটকেন্দ্রের তালিকা জমা দিতে হবে।এই কাজ শেষ করতে হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।
এবারই প্রথম রাজ্যের বহুতলগুলিতে ভোটকেন্দ্র তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এনিয়ে জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, দেখা যায় শুধুমাত্র দক্ষিণ কলকাতার ২টি বহুতল ছাড়়া রাজ্যের আর কোনও জায়গার বহুতলের নাম রিপোর্টে নেই। এই আবহেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে রাজ্য়ের মুখ্য় নির্বাচনী আধিকারিককে দেওয়া চিঠিতে পরিষ্কার বলা হয়েছে, বিষয়টি খুবই গুরুতর। আইন অনুযায়ী জেলা নির্বাচনী আধিকারিক বা ডিইও-রা কমিশনের নির্দেশ মানতে বাধ্য।
চিঠিতে এও বলা হয়েছে, প্রয়োজনীয় জায়গায় বুথ না হলে তার দায় ডিইও-দের নিতে হবে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, বহুতলগুলিতে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র তৈরি নিয়ে আর কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। জেলা নির্বাচনী আধিকারিক-দের রিপোর্ট দেখে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। বহুতলে বুথ করার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলির অবস্থান ভিন্ন। এ নিয়ে আলোচনা করলে বিষয়টি আরও জটিল হবে। তাই যেখানে নতুন ভোটগ্রহণ কেন্দ্র তৈরির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে সেখানেই করা হবে।
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন,বহুতলে বুথ নিয়ে অনেক সমস্যা। কেন্দ্রীয় বাহিনী এলে কোথায় থাকবে এইসব তো সত্যিই সমস্যার। বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, নির্বাচন কমিশন দেখছে কীভাবে কী করা যায়। কলকাতা ও তার পাশ্বর্বর্তী এলাকাগুলিতে গত কয়েক বছরে হু হু করে বেড়েছে বহুতল!এসআইআর চলাকালীন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে জোড়া চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার একটিতে আবাসনে বুথ তৈরিতে আপত্তি জানিয়েছিলেন তিনি।






















