WB Blood Bank: ব্লাড ব্যাঙ্কের জন্য নতুন নিয়ম, গাইডলাইন জারি রাজ্যের
Blood Bank Guideline: অনেক রোগীরই হোল ব্লাডের প্রয়োজন থাকে না। প্লেটলেট, প্লাজমা, শ্বেতরক্ত কণিকা, লোহিত রক্ত কণিকার মতো বিভিন্ন উপাদানের আলাদা আলাদা করেও প্রয়োজন পড়ে।
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: ব্লাড ব্যাঙ্কের জন্য নয়া গাইড লাইন স্বাস্থ্য দফতরের (West Bengal Health Department)। এখন থেকে সব ব্লাড ব্যাঙ্কে (Blood Bank) মিলবে হোল ব্লাড, প্লাজমা, শ্বেতরক্ত কণিকা, লোহিত রক্ত কণিকা। যে সব ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের উপাদান আলাদা করার পরিকাঠামো নেই তাদের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে পরিকাঠামো যুক্ত ব্লাড ব্যাঙ্কগুলি। এর আওতায় আসছে জেলার হাসপাতালগুলিও।
নয়া গাইডলাইন জারি: রোগীদের রক্তের প্রয়োজন পড়লে এতদিন বহু ব্লাড ব্যাঙ্কে মিলত হোল ব্লাড। কিন্তু অনেক রোগীরই হোল ব্লাডের প্রয়োজন থাকে না। প্লেটলেট, প্লাজমা, শ্বেতরক্ত কণিকা, লোহিত রক্ত কণিকার মতো বিভিন্ন উপাদানের আলাদা আলাদা করেও প্রয়োজন পড়ে। বহু ব্লাড ব্যাঙ্কেই রক্তের উপাদান পৃথকীকরণের পরিকাঠামো নেই। সেই সমস্যার সমাধানে এবার নতুন গাইডলাইন আনল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। যেখানে বলা হয়েছে, কোন ব্লাডব্যাঙ্কে রক্ত পৃথকীকরণের পরিকাঠামো নেই তার তালিকা তৈরি করতে হবে। রক্ত পৃথকীকরণের পরিকাঠামো আছে এমন ব্লাড ব্যাঙ্কের সঙ্গে পরিকাঠামোহীন ব্লাড ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণ এবং পরিকাঠামোহীন মহকুমা হাসপাতালের সঙ্গে জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণ করতে হবে। পরিকাঠামোহীন ব্লাড ব্যাঙ্কগুলি রক্ত সংগ্রহের পর পাঠাবে পরিকাঠামো যুক্ত ব্লাড ব্যাঙ্কে। রক্তের উপাদান পৃথকীকরণের পর তা ফিরিয়ে নেবে পরিকাঠামোহীন ব্লাড ব্যাঙ্ক।
স্বাস্থ্য দফতরের এই উদ্যোগের ফলে সুবিধা হবে গ্রামের মানুষদের। মহকুমা স্তরের হাসপাতালেও রক্তের বিভিন্ন উপাদান পাবেন তাঁরা। এম আর বাঙুর ও চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতাল শহরের নামী হাসপাতালগুলির মধ্যে অন্যতম। কিন্তু সেখানকার ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে রক্ত পৃথকীকরণের পরিকাঠামো নেই। যার ফলে সমস্যায় পড়তে হত রোগীদের। এবার সেই সমস্যা মিটবে। এমআর বাঙুর হাসপাতালরে সুপার শিশির নস্কর বলেন, “খুবই সুবিধা হল। রোগীর সব জিনিস প্রযোজন পড়ে না। কিছু নির্দিষ্ট উপাদানের প্রয়োজন হয়।’’
এদিকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় বেসরকারি হাসপাতালে ইমার্জেন্সি অর্থোপেডিক অপারেশনে বদল এনেছে রাজ্য সরকার। গত মাসে নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য স্বাস্থ্য জানিয়েছে, এবার থেকে দুর্ঘটনা ঘটার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বেসরকারি হাসপাতালে আনতে হবে রোগীকে।সঙ্গে দুর্ঘটনা সংক্রান্ত প্রামাণ্য সরকারি নথি থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবেই বেসরকারি হাসপাতালে মিলবে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুবিধা। এছাড়াও, অপারেশন করাতে হবে শুধুমাত্র সরকারি পোর্টালে নথিভুক্ত অর্থোপেডিক সার্জনকে দিয়ে। অন্য কোনও চিকিৎসক অস্ত্রোপচার করলে, মিলবে না বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুবিধা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: East Midnapore: ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু দুই ছাত্রের, শোকের ছায়া কোলাঘাটে