Coronavirus India: জুনেই ফের আছড়ে পড়বে চতুর্থ ঢেউ? দেশের ঊর্ধ্বমুখী করোনাগ্রাফে বাড়ছে উদ্বেগ
Covid-19 India: করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের ক্ষেত্রে আফ্রিকার জিম্বাবোয়ের সঙ্গে ভারতের মিল পাচ্ছেন গবেষকরা। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো প্রাণঘাতী ও সংক্রামক হিসেবে আছড়ে পড়বে চতুর্থ ঢেউ?
কলকাতা: দেশে কি কড়া নাড়ছে করোনার (Coronavirus) চতুর্থ ঢেউ (Fourth Wave)? উদ্বেগ বাড়িয়ে IIT কানপুরের (Kanpur) গবেষণা বলা হয়েছে, জুনেই (June) তা আছড়ে পড়তে পারে। শিখরে পৌঁছবে অগাস্টে (August)। তাণ্ডব চলতে পারে অক্টোবর (Octorber) পর্যন্ত। দেশে ফের করোনার বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে। বাড়ছে বিপদের আশঙ্কা। অথচ এখনও বহু সংখ্যক মানুষের মধ্যে নেই সচেতনতা। পদে পদে লঙ্ঘিত হচ্ছে কোভিড বিধি। এই উদাসীনতাই ফের বড়সড় বিপদের মুখে ঠেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিস্থিতি সামলাতে বিধি মানায় জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
আবার ভয় ধরাচ্ছে করোনা...দেশে ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ... এই প্রেক্ষাপটে IIT কানপুরের গবেষণা বলছে, জুন মাসেই দেশে আছড়ে পড়তে পারে করোনার চতুর্থ ঢেউ। উদ্বেগ বাড়িয়ে রিপোর্টে বলা হয়েছে, অগাস্টের মাঝামাঝিতে চূড়োয় পৌঁছে যেতে পারে সংক্রমণ।
করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের তাণ্ডব চলতে পারে অক্টোবর পর্যন্ত। গাণিতিক গবেষণার মধ্যে দিয়ে কানপুর আইআইটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২০-র ৩০ জানুয়ারি ভারতে প্রথম করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলে। সেদিন থেকে ৯৩৬ দিন অর্থাৎ ২ বছর ১০ মাস পর আছড়ে পড়বে চতুর্থ ঢেউ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত দু’সপ্তাহে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় দেড়শো শতাংশ। এই সময়কালে মৃত্যুর হার প্রায় দেড় গুণ বেড়েছে। আর এতেই প্রমাদ গুনছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন, কলকাতায় একলাফে ৪ ডিগ্রি বাড়ল পারদ, আরও গরম বাড়বে শহরে?
করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের ক্ষেত্রে আফ্রিকার জিম্বাবোয়ের সঙ্গে ভারতের মিল পাচ্ছেন গবেষকরা। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো প্রাণঘাতী ও সংক্রামক হিসেবে আছড়ে পড়বে চতুর্থ ঢেউ? তৃতীয় ঢেউয়ের মতো ঝড়ের গতিতে ছড়াবে সংক্রমণ? রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায়, গত ৩১ মার্চ, রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ তুলে দেয় রাজ্য সরকার। তারপর থেকে সময় যত এগিয়েছে, কোভিডবিধি পালনে দেখা দিয়েছে শিথিলতা।
IIT কানপুরের গবেষণায় এই সম্পর্কে তথ্য উঠে না এলেও, রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিনেশন, বুস্টার ডোজের উপর পরিস্থিতি অনেকটা নির্ভর করছে। চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার বলেন, "এই মুহূর্তে মাত্র ১.৮ শতাংশ বুস্টার ডোজ পেয়েছে। এদের মধ্যে সংক্রমণের সম্ভাবনা আছে। ওমিক্রনের ক্ষেত্রে তাই দেখা গেছে। ওমিক্রনের ক্ষেত্রেও তাই দেখা গেছে। আগামী ১-দেড় মাসের মধ্যে প্রিকশন ডোজ না নিতে পারি তাহলে সমস্যা।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, চতুর্থ ঢেউ এখনই চলে এসেছে। চিকিৎসক আসিফ ইকবাল বলেন, "বুস্টার ডোজ ঠিকঠাক না নেওয়া হল, চতুর্থ ওয়েভ শুরু হয়ে গেছে। এটা আছড়ে পড়বে মে মাসের শেষ থেকে জুনে। যদি না সাবধান হই। যদি বুস্টার না নিই তাহলে সমস্যা। সব মিলিয়ে করোনার চতুর্থ ঢেউ নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে উদ্বেগ। বিপদের আঁচ মিলছে এখন থেকেই। কিন্তু, যেভাবে বহু মানুষ ঢিলেঢালা মনোভাব দেখাচ্ছেন, তাতে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই নিজেদের ভাল বুঝতে, সকলকে সাবধান হয়ে যেতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।