Governor At JU: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেন রাজ্যপাল, নিহত ছাত্রের বাবাকে ফোন করে সঠিক তদন্তের আশ্বাস
CV Ananda Bose: বাংলা অনার্সের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যুর পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁকে দেখেই পড়ুয়ারা স্লোগান দিতে থাকেন, 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস।'
কলকাতা: বাংলা অনার্সের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যুর পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। তাঁকে দেখেই পড়ুয়ারা স্লোগান দিতে থাকেন, 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস।' আমরা বিচার চাই। সঠিক তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল (West Bengal Governor)। নিহত ছাত্রের বাবার সঙ্গে ফোনে কথাও বলেছেন তিনি। সঠিক তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আধ ঘণ্টা ছিলেন রাজ্যপাল। হস্টেলে স্বপ্নদীপ যে ঘরে থাকতেন, সেখানে গিয়েছিলেন সিভি আনন্দ বোস। তারপর তিনি কথা বলেন স্বপ্নদীপের সহপাঠীদের সঙ্গেও। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা হয় তাঁর।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু। মাঝরাতে হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হল বাংলা অনার্সের প্রথম বর্ষের ছাত্রের। মৃতের নাম স্বপ্নদীপ কুণ্ডু। বাড়ি নদিয়ার বগুলার হাঁসখালিতে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, ওরিয়েন্টেশন-সহ প্রথম তিনদিন ক্লাস করেছিলেন স্বপ্নদীপ। পছন্দের বিষয় নিয়ে পড়তে পারছেন বলে খুশিও ছিলেন। কোনও সমস্যার কথা জানাননি। মেলেনি সুইসাইড নোট। গতকাল রাত পৌনে ১২টা নাগাদ ওই ছাত্র মেন হস্টেলের তিনতলার বারান্দা থেকে পড়ে যান। গুরুতর জখম অবস্থায় যাদবপুরের কেপিসি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে আজ ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। সহপাঠীরা জানিয়েছেন, হস্টেলের আবাসিক ছিলেন না স্বপ্নদীপ। বন্ধুদের সঙ্গে থাকছিলেন। দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
মৃত্যুর নেপথ্যে ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে সন্দেহ মৃতের সহপাঠীদের। দেহে বাইরে থেকে আঘাত নাকি, পতনজনিত কারণে আঘাতের চিহ্ন, খতিয়ে দেখছে যাদবপুর থানার পুলিশ।
যাদবপুরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যু ঘিরে উঠছে প্রশ্ন। বিজ্ঞানের মেধাবী ছাত্র স্বপ্নদীপ জয়েন্টে ভাল র্যাঙ্ক থাকা সত্ত্বেও বাংলা পড়তে ভালবাসতেন। সহপাঠীদের দাবি, বাড়ির অমতে বাংলা নিয়ে পড়বেন বলে দু’দিন আগে যাদবপুরে ভর্তি হন।গতকাল রাত ৯টা নাগাদ মায়ের সঙ্গে শেষবার ফোনে কথা হয় স্বপ্নদীপের। বছর ১৮-র ওই পড়ুয়া ফেসবুক ডিঅ্যাক্টিভেট করে দেন। মৃত্যুর সঙ্গে এর কোনও যোগ রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে যাদবপুর থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: ABP Exclusive: বিশ্বকাপের প্রচারে চমক? শহরে আসতে পারেন সহবাগ-হরভজন, ইডেন পর্যন্ত ব়্যালির পরিকল্পনা
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন