Police Controversy : পুলিশের লাঠিচার্জ, পরে আইসি-কে সংবর্ধনা, প্যারীমোহন কলেজের ঘটনায় চড়ছে রাজনৈতিক পারদ
TMC-BJP-CPM : উত্তরপাড়া থানার IC পার্থ শিকদার আগেই জানিয়েছেন, সম্বর্ধনা বিতর্ক নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করবেন না।
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি : কলেজ ফেস্টে বিশৃঙ্খলায় পুলিশের লাঠিচার্জ (Police Lathi Charge)। আর অনুষ্ঠান শেষে সেই মঞ্চেই আইসি-কে টিএমসিপির সম্বর্ধনা (Fecilitation)। উত্তরপাড়ার প্যারীমোহন কলেজের ঘটনায় রাজনৈতিক বাগযুদ্ধের পারদ আরও চড়ল।
ছাত্রছাত্রীদের ওপর লাঠিচার্জ করছে যে থানার পুলিশ, সেই থানার IC-কেই সম্বর্ধনা জানাচ্ছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। হুগলির উত্তরপাড়ার ঘটনার পর ৪ দিন পার। বিতর্ক তো মিটছেই না। বরং তা বেড়ে চলেছে ! প্যারীমোহন কলেজের ঘটনায় শাসক-বিরোধী সংঘাতের পারদ এবার আরও চড়ল।
প্যারীমোহন কলেজের ফেস্টে বিতর্ক
গত বৃহস্পতিবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পরিচালনায় কলেজ ফেস্ট অনুষ্ঠিত হয় প্যারীমোহন কলেজে। ফেস্ট চলাকালীন চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ মানুষের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ওই ঘটনার ঘণ্টা ২ পর অনুষ্ঠান শেষে একই মঞ্চে রাজ্যের শাসক দলের ছাত্র সংগঠন সম্বর্ধনা দেয় উত্তরপাড়া থানার IC পার্থ শিকদারকে। বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতির ফেসবুকে পোস্ট করা হয় দুই ঘটনার ছবি। তা নিয়ে লাগাতার পুলিশকে নিশানা করে চলেছে বিরোধীরা।
রাজনৈতিক তরজা
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, 'থানার আইসিরা এখন টিএমসির ক্যাডার। আইসি হচ্ছেন মণ্ডল প্রেসিডেন্ট। এসপি হচ্ছেন জেলা প্রেসিডেন্ট। আর অফিসগুলো হচ্ছে টিএমসির জেলা অফিস আর মণ্ডল অফিস। তাদের কাছ থেকে আলাদা কিছু আশা করতে পারি না আমরা।'
শনিবার হুগলির পাণডুয়ায় সারা ভারত ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের সভা থেকে পুলিশের একাংশের কড়া সমালোচনা করেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলি। তাঁর অভিযোগ, 'আমি পুলিশকে বলি, আইন মেনে চলো। দালালি করো না। ডিআইজি আছো, ডিআইজির মতো কাজ করো। ডিওজি হওয়ার চেষ্টা করো না।' সিপিএম রাজ্য সম্পাদক আরও আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে বলেন, 'অনেক আইসি-র এমন অবস্থা হয়েছে, আমাদের পুলিশ অফিসারদের, তৃণমূলের নেতারা ডুগডুগি বাজায়, ওরা বাঁদর নাচ নাচে। এসব আইসিগুলোর অবস্থাও খারাপ হযে যখন তৃণমূলের অবস্থা খারাপ হবে।' বিরোধীদের এই সমালোচনার পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল।
উত্তরপাড়া থানার IC পার্থ শিকদার আগেই জানিয়েছেন, সম্বর্ধনা বিতর্ক নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করবেন না।
আরও পড়ুন- বড়দিনে উৎসবমুখর বাংলা, এখনও হকের চাকরির দাবিতে ধর্না চাকরিপ্রার্থীদের