![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Vande Bharat : 'নিম্নমানের, নিম্নরুচির রাজনীতিবিদ' মমতাকে শুভেন্দুর আক্রমণ, 'অসভ্যতা, ছ্যাবলামো' পাল্টা ফিরহাদ-কুণালের
BJP- TMC : প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়ালি হাজির থেকে বঙ্গের প্রথম প্রথম ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধনের পরই শুরু হয়ে যায় তরজা। নেতাজি জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আগেও ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে তৈরি হয়েছিল একইরকম পরিস্থিতি।
![Vande Bharat : 'নিম্নমানের, নিম্নরুচির রাজনীতিবিদ' মমতাকে শুভেন্দুর আক্রমণ, 'অসভ্যতা, ছ্যাবলামো' পাল্টা ফিরহাদ-কুণালের West Bengal Politics at Vande Bharat inaguration event TMC BJP Targets each other Vande Bharat : 'নিম্নমানের, নিম্নরুচির রাজনীতিবিদ' মমতাকে শুভেন্দুর আক্রমণ, 'অসভ্যতা, ছ্যাবলামো' পাল্টা ফিরহাদ-কুণালের](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/12/30/b3611a689c18155f324a6d9ff9ec2185167238794701752_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
হাওড়া : ছিল রেল-মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান করে নেওয়ার মঞ্চ। কিন্তু হয়ে উঠল রাজনৈতিক রেষারেষির জায়গা। হাওড়া স্টেশনে বন্দে ভারতের উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে পৌঁছতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উদ্দেশে উল্টোদিকে প্ল্যাটফর্ম থেকে উড়ে আসে জয় শ্রীরাম স্লোগান। যা নিয়ে দৃশ্যতই প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন তিনি। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও মঞ্চে না উঠে পাশে আমলাদের সঙ্গে বসে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আর যে ঘটনার পরই শুরু হয় তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোর। মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পাল্টা তাঁকে ও বিজেপিকে কটাক্ষ করেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) , কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
মুখ্যমন্ত্রী যখন তাঁর ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তখন রেলমন্ত্রী সহ একাধিক বিজেপি নেতা-মন্ত্রী মঞ্চ থেকে নেমে এসে তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করলেও সেই পথে হাঁটেননি শুভে্দু অধিকারী। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা, জন বার্লা, নিশীথ প্রামাণিকরা বসে ছিলেন মঞ্চেই। প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়ালি হাজির থেকে বঙ্গের প্রথম প্রথম ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধনের পরই শুরু হয়ে যায় তরজা। প্রসঙ্গত, নেতাজি জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আগেও ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে তৈরি হয়েছিল একইরকম পরিস্থিতি।
সাংবাদিকদের সামনে হাজির হয়ে শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষ, 'নিম্নমানের, নিম্নরুচির এক রাজনীতিক। দুর্ভাগ্যবশত যাঁকে আমি সহ ৪০ হাজার লোক খেটে মুখ্যমন্ত্রী বানিয়েছিলাম। ওঁকে আমি প্রাক্তন করেই ছাড়ব। একরম ঘটনা আরও হবে, যেটা ওঁকে পরে ঘরে বসে দেখতে হবে। একইরকমভাবে ড্রামা আগেও করেছিলেন। আসলে নন্দীগ্রামে আমার কাছে হারটা ভুলতে পারেননি। যতদিন রাজনীতি করবেন এই হারটা মাথায় নিয়েই থাকতে হবে।'
মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতার আক্রমণকে অবশ্য পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল। তাঁকে 'কাল কা যোগী' বলেই কটাক্ষ করেছেন কুণাল ঘোষ। পাশাপাশি বিজেপি শিবিরকে আক্রমণ করে তাঁর কটাক্ষ, 'রামকে নিয়ে অসভ্যতা করছে বিজেপি। সব কিছুরই একটা স্থান-কাল-পাত্র রয়েছে। আর বিজেপি তো বন্দে ভারতকে আসলে ধন্দে ভারতে পরিণত করেছে।' গেরুয়া শিবিরকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। তিনি বলেছেন, 'রামের নাম নিতে কারোর কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু বিজেপি ছ্যাবলামো করছে। তৃণমূল চাইলে গলা টিপে দিতে পারে। কিন্তু আমরা সৌজন্য দেখাচ্ছি। কিন্তু বিজেপি এমন একটা দল, যাঁরা সৌজন্যের যোগ্য নয়।'
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)