West Bengal Weather : খেলা ঘুরল ! গত ৬ ঘণ্টায় বড় পরিবর্তন 'গভীর নিম্নচাপের', সকালেই জানাল হাওয়া-অফিস
Weather Report : আবহাওয়া দফতরের বুলেটিন বলছে গত ৬ ঘণ্টায় বড় পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে পরিস্থিতির।

অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা : ছিল সঙ্কট। দুর্যোগের প্রহর গোনাও শুরু হয়ে গিয়েছিল। জেলা, মহকুমা ও ব্লকে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছিল। তৈরি রাখা হয়েছিল আয়লা সেন্টারগুলি। সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা মোতায়েন ছিলেন দুর্গত এলাকায়৷ ব্লকে শুকনো খাবার, জলের পাউচ মজুত করা হয়েছিল। কিন্তু আবহাওয়া দফতরের বুলেটিন বলছে গত ৬ ঘণ্টায় বড় পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে পরিস্থিতির।
দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত
আবহাওয়া দফতরের বুলেটিন বলছে, বাংলাদেশ এবং সংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর অবস্থিত গভীর নিম্নচাপটি গত ৬ ঘন্টা ২০ কিলোমিটার বেগে উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়েছে। সিস্টেমটি দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে । শুক্রবার, ৩০ মে তারিখে , ভারতীয় সময় সাড়ে ৫ টায় ২৪.১° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৪° পূর্ব দ্রাঘিমাংশের কাছাকাছি, বাংলাদেশের উপর কেন্দ্রীভূত হয়ে রয়েছে।
কোথায় এখন নিম্নচাপটি
এখন সিস্টেমটি টাঙ্গাইল থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে, ঢাকা থেকে ১১০ কিলোমিটার পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিমে, বহরমপুরথেকে ১২০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এবং শিলং থেকে ৩০০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। এবার তা উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সিস্টেমটি দুর্বল হয়ে একটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপ অঞ্চলে পরিণত হয়ে যেতে পারে। তাই আপাতত যে দুর্যোগের আশঙ্কায় কাঁপছিল উপকূলবর্তী এলাকাগুলি, তা নিয়ে একটু নিশ্চিন্ত হওয়া যেতে পারে।
বর্ষার প্রভাব কোথায় কোথায়
এ বছর সময়ের আগেই বঙ্গে এসে পৌঁছেছে বর্ষা। প্রাক বর্ষার বৃষ্টি আপাতত চলবে দক্ষিণবঙ্গে। আর উত্তরবঙ্গে শুরু বর্ষার ভারী বৃষ্টি। কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার আলিপুরদুয়ারে। শুক্রবার আলিপুরদুয়ারে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে উত্তরবঙ্গের সব জেলায়। পার্বত্য এলাকায় ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে। নদীগুলির জলস্তর অনেকটাই বাড়তে পারে। জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আশঙ্কায় উপকূলবর্তী অঞ্চল
অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গে, ইতিমধ্যেই সুন্দরবনের গঙ্গাসাগর, মৌসুনি, ফ্রেজারগঞ্জ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, গোসাবা, কুলতলির বেশ কিছু বেহাল বাঁধ দিয়ে নোনা জল লোকালয়ে ঢুকতে শুরু করেছে।মাটির বাঁধগুলির অবস্থাও ভাল নয়। জলোচ্ছ্বাসের জেরে যে কোনও সময় বড়সড় ধস নামতে পারে। দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রশাসনিক প্রস্তুতি সারা। তবে আপাতত আর ভারী দুর্যোগের ধাক্কা আসবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে বর্ষার জন্য তৈরি থাকতে হবে প্রশাসনকে।





















