(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Durgapur : ব্যবসায়ীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও ৫০ হাজার টাকা, মাস পেরিয়ে গেলেও মেলেনি সুরাহা
West Burdwan News : ১৬ নভেম্বর হঠাৎই ব্যবসায়ীর মোবাইল ফোনে ১০ হাজার টাকা তুলে নেওয়ার এসএমএস আসে। তিনি তড়িঘড়ি ওই ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে গিয়ে অভিযোগ জানান।
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর (পশ্চিম বর্ধমান) : ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০ হাজার টাকা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনার এক মাস পরেও মেলেনি সুরাহা। দুর্গাপুর(Durgapur) সিটি সেন্টারের ব্যবসায়ীর অজান্তেই এসবিআই(SBI) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০ হাজার টাকা উধাও হয়ে যায় বলে অভিযোগ। আতঙ্কিত ব্যবসায়ী(Businessman) স্বপন রথ তড়িঘড়ি ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়ের করেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম বিভাগে।
সিটিসেন্টারের বাসিন্দা ব্যবসায়ী স্বপন রথ জানান, দুর্গাপুর ইস্পাত কলোনির সি-জোন এলাকায় একটি এসবিআই ব্যাঙ্কে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে জয়েন্টে অ্যাকাউন্ট রয়েছে দীর্ঘদিনের। ১৬ নভেম্বর হঠাৎই তাঁর মোবাইল ফোনে ১০ হাজার টাকা তুলে নেওয়ার এসএমএস আসে। তিনি তড়িঘড়ি ওই ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে গিয়ে অভিযোগ জানান।
ব্যাঙ্ক ম্যানেজার বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। স্বপনবাবুর অ্যাকাউন্ট থেকে কেবল ১০ হাজার নয়, ৫ দফায় মোট ৫০ হাজাার টাকা তোলা হয়েছে দাউ এলাকা থেকে। ব্যাঙ্ক ম্যানেজার কথা মত ১৭ নভেম্বর সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ দায়ের করেন স্বপনবাবু। অভিযোগের পর একমাস কেটে গেলেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে জানান স্বপনবাবু। এইভাবে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা উধাও হলে কোথায় টাকা রাখবে সাধারণ মানুষ, কোথায় সুরক্ষিত কষ্টের রোজগারের পুঁজি ? পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, ওই ব্যাঙ্কের কোনও গ্রামীণ এলাকার কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট থেকে টাকা তোলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন ; গ্রাহক ঠকাতে নতুন ফাঁদ, এই কল থেকে সতর্ক থাকুন
প্রসঙ্গত, গত মাসেই সিআইটি রোডে (CIT Road) পাঞ্জাব ন্যাশনাল (PNB Bank) ব্যাঙ্কের শাখায় এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা গায়েব করার (Bank Fraud) অভিযোগ ওঠে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১১ নভেম্বর ওই অ্যাকাউন্ট থেকে একাধিক বেআইনি লেনদেনের প্রমাণ মেলে। গ্রাহকের কাছে ব্যাঙ্কের নাম করে ফোন করে প্রতারকরা। বিভিন্নভাবে তাঁকে বিভ্রান্ত করে জেনে নেওয়া হয় আইডি ও পাসওয়ার্ড। এর পর অ্যাকাউন্ট (Bank Account) থেকে ধাপে ধাপে তুলে নেওয়া হয় প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা। সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা যায়। প্রতারণার অভিযোগে ৭ জনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (Cyber Cell)।