West Burdwan: আসানসোলের কুলটিতে গভীর রাতে ছেলের হাতে খুন মা
Asansol News: পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ।

কৌশিক গাঁতাইত, আসানসোল: গভীর রাতে ছেলের হাতে মা খুন। ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের কুলটি থানার এল সি মোড় সংলগ্ন এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে। এই ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খুন করার অপরাধে পুলিশ ঐ মহিলার ছেলে বিশাল সিনহাকে আটক করেছে ইতিমধ্যেই। এলাকাবাসীর দাবি রাতের কোনও এক সময় বিশাল তাঁর মা সুশীলা সিনহাকে ভারী কোনও বস্তু দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই সেই মহিলার মৃত্যু হয়। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ। কিন্তু কেন বিশাল তাঁর মাকে খুন করেছে, তার কোনও নির্দিষ্ট কারণ এখনো জানা যায়নি।
২ মাস আগে একটি খবর প্রকাশ্যে এসেছিল, সেখানে ঘুমন্ত অবস্থায় বাবা-মাকে গুলি করার পর নিজের দিকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্য়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল এক SI-এর বিরুদ্ধে । ঘটনায় ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছিল একটি নোট। পুলিশের অনুমান ছিল সেটি অভিযুক্তেরই লেখা। কিন্তু ঠিক কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল? উত্তর খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে ঘুমন্ত বাবা-মাকে গুলি করেছিল সেই SI। আর তারপর নিজের দিকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্য়ার চেষ্টা করেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছিল ঝাড়গ্রামের রঘুনাথপুরে।
২ দিন আগেই একটি খবর এবিপি আনন্দে প্রকাশিত হয়েছিল যে ওড়িশার নার্সিং কলেজে পড়তে গিয়ে খড়গপুরের ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে রহস্য। মৃত ছাত্রের নাম মহম্মদ আজিমউদ্দিন, বাড়ি খড়গপুরের সাঁজোয়ালে। ওড়িশার খুরদা রোডে বিশ্বাস কলেজ অফ নার্সিংয়ে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল আজিমউদ্দিন। হস্টেলের রুম থেকে উদ্ধার দেহ। আত্মহত্যা করেছে সেই ছাত্র, দাবি ছিল কলেজ কর্তৃপক্ষের।
যদিও মৃতের পরিবারের দাবি, খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে রুমমেটরা। দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধারের দাবি করলেও দরজা ভাঙার কোনও চিহ্ন মেলেনি, অভিযোগ মৃতের পরিবারের। আজিমউদ্দিনের রুমমেটদের সঙ্গেও দেখা করতে দেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ, অভিযোগ জানিয়ে, উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানিয়েছে ওই মৃত ছাত্রের পরিবারের। সম্প্রতি ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল ওড়িশা। হেনস্থার অভিযোগে বালেশ্বর কলেজে গায়ে আগুন দেওয়ায় শেষ অবধি মৃত্যু হয়েছিল এক ছাত্রীর।বালেশ্বর ফকির মোহন কলেজের এক হাড়হিম করা দৃশ্যের সাক্ষী হয়েছিল গোটা দেশ। কলেজে বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগে ক্য়াম্পাসেই গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্য়ার চেষ্টা করেছিলেন ছাত্রী। ৯৫ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় ভুবনেশ্বর এইমসে ভর্তি ছিলেন নির্যাতিতা। ৩ দিনের লড়াই শেষে ভুবনেশ্বরের এইমসে মৃত্যু হয়েছিল ওই তরুণীর। ঘটনার প্রতিবাদে বিরোধীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছিল ভুবনেশ্বর।






















