West Midnapore: এই নিয়ে পরপর ৪ জন, ফের খুন তৃণমূলকর্মী! নির্মীয়মাণ বাড়ি থেকে গলা কাটা দেহ উদ্ধার
সিআইডি তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছে মৃতের পরিবার। পুলিশকে দেহ নিয়ে যেতে বাধা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
সোমনাথ দাস ও সৌমেন চক্রবর্তী, চন্দ্রকোণা (পশ্চিম মেদিনীপুর): পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapore) চন্দ্রকোণায় (Chandrakona) খুন তৃণমূলকর্মী (TMC)। নির্মীয়মাণ বাড়িতে গলা কাটা দেহ উদ্ধার। মাথাতেও ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাতের দাগ। ঘটনাস্থলে পুলিশ কুকুর নিয়ে গিয়ে তদন্ত। মৃত তৃণমূলকর্মীর নাম বটকৃষ্ণ পাল। সিআইডি (CID) তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছে মৃতের পরিবার। পুলিশকে দেহ নিয়ে যেতে বাধা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এখনও পর্যন্ত খুনের মোটিভ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণায় তৃণমূল কর্মীকে (tmc Worker Murder) খুনের অভিযোগ। নির্মীয়মাণ বাড়ি থেকে উদ্ধার হল গলাকাটা দেহ। স্নিফার ডগ নিয়ে তল্লাশি চালিয়ে নমুনা সংগ্রহ করল পুলিশ। সিআইডি (cid) তদন্তের দাবি সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃতকে দলীয় কর্মী বলে দাবি করেছেন, স্থানীয় বিধায়কও। রাজনীতির সঙ্গে যোগ ছিল না ব্য়ক্তির, পাল্টা দাবি বিজেপির।
লন্ডভন্ড বিছানা ঘরের মেঝেতে পড়ে রক্তাক্ত দেহ। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণায় তৃণমূল কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য মৃতের নাম বটকৃষ্ণ পাল (৬০)। মৃতের স্ত্রীর দাবি, এদিন সকালে ঘরের ভিতরে রক্তাক্ত অবস্থায় স্বামীকে পড়ে থাকতে দেখেন। খুনের অভিযোগ করছে পরিবার।
মৃত তৃণমূল কর্মীর ছেলে গোবিন্দপ্রসাদ পালের কথায়, আমার সাথে সন্ধেবেলা কথা হয়েছিল প্রতিদিনের মতো। বাড়িতে ঢুকে শুনলাম বাবাকে মার্ডার করে দিয়েছে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে গেলে বাধা দেন স্থানীয়রা। তাঁরা দাবি করেন, সিআইডি তদন্তের। পুলিশ কুকুর এনে তল্লাশির দাবিও জানান তাঁরা। প্রায় ৬ ঘণ্টা পর স্নিফার ডগ নিয়ে পৌঁছয় পুলিশ। ঘটনাকে খুন বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ।
উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁদের কর্মীকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের (TMC)। পরে মৃত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে যান চন্দ্রকোণার (Chandrakona) বিধায়ক অরূপ ধাড়া। মৃত ব্য়ক্তিকে নিজেদের সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করেন তিনি।
চন্দ্রকোণার বিধায়ক অরূপ ধাড়া বলছেন, এটা একটা নৃশংস খুন। উনি আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন এবং জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূল করছেন। যদিও বিজেপির দাবি রাজনীতির সঙ্গে যোগ ছিল না মৃতের। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে ধানক্ষেতের পাশে স্নিফার ডগ নিয়ে তল্লাশির সময় বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: 'পুলিশ না থাকলে TMC-কে খুঁজে পাওয়া যাবে না', ফের শুভেন্দুর নিশানায় মমতা