Calcutta High Court: তপন কান্দু খুনের প্রধান সাক্ষীর মৃত্যুতেও সিবিআই তদন্তের দাবি, মামলা দায়েরের অনুমতি হাইকোর্টের
Jhalda Murder Case: ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর হত্যার তদন্তে আজ তাঁর ব্যবসার পার্টনার পিন্টু চন্দকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করল সিবিআই। তৃণমূল কর্মী বিশ্বনাথ কান্দুকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদার (Jhalda) কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর (Congress Councillor Tapan Kandu) খুনের (Murder Case) ঘটনার প্রধান সাক্ষী ও প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের ঝুলন্ত দেহ কয়েকদিন আগে বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় এবার সিবিআই তদন্তের (CBI Probe) দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। আদালত মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে।
তপন কান্দু খুনের তদন্তে সিবিআই
ইতিমধ্যেই ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। নিহতের পরিবার শুরু থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেও, রাজ্য সরকার তদন্তে পুলিশেরই সিট তৈরি করে। তবে হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিতে গিয়ে বলেছে, অভিযোগকারী এবং মানুষের মনে আস্থা ফেরাতেই এই নির্দেশ।
তপন কান্দু খুনে প্রত্যক্ষদর্শীর রহস্যমৃত্যু
ঝালদাকাণ্ডে যেদিন এফআইআর দায়ের করে তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই, সেদিনই রহস্যমৃত্যু হয়েছে কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের প্রত্যক্ষদর্শীর। যিনি এই মামলার অন্যতম প্রধান সাক্ষী। এরই সঙ্গে ফের একবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
১৩ মার্চ ঘুরতে বেরিয়ে খুন হন পুরুলিয়ার ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বন্ধু নিরঞ্জন বৈঞ্চব। গত বুধবার বাড়ি থেকে তাঁরই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সেই সঙ্গে উদ্ধার হয় সুইসাইড নোটও। স্থানীয়দের দাবি, গত মঙ্গলবার রাতে বন্ধুর বাড়িতে ছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের অন্যতম প্রধান সাক্ষী নিরঞ্জন। বুধবার ভোরে বাড়ি ফেরেন তিনি। এরপর ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
আত্মীয়দের দেওয়া সুইসাইড নোট অনুযায়ী, কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের সাক্ষী নিরঞ্জন লিখেছেন, ‘যেদিন তপনের (কংগ্রেস কাউন্সিলর) হত্যা হয়, সেদিন থেকে আমি মানসিক অবসাদে ভুগছি। যে দৃশ্যটি দেখেছি, তা মাথা থেকে কোনওরকমে বের হচ্ছে না। ফলে রাতে ঘুম হচ্ছে না। খেতে মন যাচ্ছে না। শুধু এই ঘটনাই মনের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। তারপর পুলিশের বারবার ডাক। আমি জীবনে থানার চৌকাঠ পার করিনি। এইসব আমি আর সহ্য করতে না পারার জন্য এই পথ বেছে নিলাম। এতে কারও কোনওরূপ প্ররোচনা, চাপ বা হাত নেই। আমি স্বেচ্ছায় আত্মত্যাগ করলাম।’
এই রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানান মৃতের আত্মীয়রা। এবার এই দাবিতেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের স্ত্রী।