(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
World Record: বিন্দুতেই বাজিমাত! একই বছরে দুবার বিশ্ব খেতাব অর্জন দেগঙ্গার ছাত্রের
North 24 Parganas:১৭৩ টি দেশলাইয়ের বাক্স সংগ্রহ করে ইন্টারন্যাশনাল বুকস অফ রেকর্ডসে নিজের নাম নথিভুক্ত করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয়বারের জন্য বিশ্ব খেতাব অর্জন করলেন রৌনক ভট্টাচার্য (Rounak Bhattacharya)।
সমীরণ পাল, দেগঙ্গা: এ যেন এক অসাধ্য সাধন করা। একই বছরে পরপর দুবার বিশ্ব খেতাব অর্জন। এবার ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৩৩৭ টি ডট দিয়ে মহিলার প্রতিকৃতি ছবি আঁকলেন তিনি। তিনি দেগঙ্গা (Deganga) হাদিপুর ঝিকরা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাদিপুরের বাসিন্দা রৌনক ভট্টাচার্য (Rounak Bhattacharya)। ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৩৩৭ টি ডট দিয়ে মহিলার প্রতিকৃতি ছবি এঁকে দ্বিতীয়বার বিশ্ব রেকর্ডের (World Record) পাতায় নাম তুলে নিল।
চলতি বছরের মে মাসে ১৭৩ টি দেশলাইয়ের বাক্স সংগ্রহ করে ইন্টারন্যাশনাল বুকস অফ রেকর্ডসে নিজের নাম নথিভুক্ত করেছিলেন তিনি। রৌনকের এই কাজে সম্বর্ধনা জানান এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতৃত্বরা। একই বছরে দ্বিতীয়বারের জন্য বিশ্ব খেতাব অর্জন করলেন রৌনক ভট্টাচার্য। হাদিপুরের বাসিন্দা কলেজ ছাত্র রৌনকের ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল অভিনব কিছু তৈরি করা।
প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে রৌনক ভট্টাচার্য। ছোটবেলা থেকেই ডানপিটে স্বভাবের। বাবা-মায়ের কথা না শুনে যেখানে যা পেতেন কুড়িয়ে রাখতেন নিজের সংগ্রহে। দেশ-বিদেশের পয়সা থেকে শুরু করে প্রাচীন যা কিছু কুড়িয়ে পেতেন সেগুলি সযত্নে রেখে দিতেন। চলতি বছরই ১৭৩ রকমের দেশলাই বাক্স সংগ্রহ করে বিশ্ব রেকর্ডের খাতায় নাম তোলেন দেগঙ্গা হাদিপুরের কলেজ ছাত্র রৌনক ভট্টাচার্য। এর পাশাপাশি ধানের শিস দিয়ে রবি ঠাকুরের ছবি আঁকা, পেন্সিলের অবশিষ্ট অংশ দিয়ে কোনও এক মনিষী ছবি আঁকা, ঠাকুর দেবতার ছবি আঁকা এমন একাধিক কৃতিত্ব রয়েছে তাঁর।
এবছর ইন্টারন্যাশনাল বুকস অফ রেকর্ডসের আয়োজিত আঁকা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন রৌনক। ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৩৩৭ টি ডট দিয়ে আর্ট কাগজের উপরে এক মহিলার প্রতিকৃতি একে বিশ্ব রেকর্ডে জায়গা করে নিল। ইন্টারন্যাশনাল বুক অব রেকর্ডসে ২১৭ জন বিশ্ব খেতাব অর্জন কারী প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করেছিলেন। ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৩৩৭ টি ডট টি ডট দিয়ে একটি মহিলার প্রতিকৃতি একে আবারও বিশ্ব খ্যাতি অর্জন করলেন। তাঁর বাড়িতে পৌঁছে গিছে সার্টিফিকেট মেডেল। ছেলের এই কৃতিত্বে খুশি রৌনকের পরিবার। ছেলের অদম্য ইচ্ছা শক্তিতে খুশি রৌনকের মা কাকলি ভট্টাচার্য।