এক্সপ্লোর
Advertisement
টিউশন করে পড়ার খরচ চালিয়ে ঝাড়খণ্ড বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় প্রথম পরিচারিকার মেয়ে
এ যেন অসম্ভবকে সম্ভব করার অদম্য লড়াই। টিউশন পড়িয়ে পড়ার খরচ চালিয়ে ঝাড়খণ্ড বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির (ইন্টারমিডিয়েট) পরীক্ষায় কলা বিভাগে শীর্ষস্থান দখল করল দরজি ও গৃহ পরিচারিকার কন্যা।
রাঁচি: এ যেন অসম্ভবকে সম্ভব করার অদম্য লড়াই। টিউশন পড়িয়ে পড়ার খরচ চালিয়ে ঝাড়খণ্ড বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির (ইন্টারমিডিয়েট) পরীক্ষায় কলা বিভাগে শীর্ষস্থান দখল করল দরজি ও গৃহ পরিচারিকার কন্যা।
মেধা আর পরিশ্রম ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মনোভাবের মিশেলে সাফল্যের শিখর ছুঁল জামশেদপুর উইমেনস কলেজ (জেডব্লুসি)-র ছাত্রী নন্দিতা। মোট ৫০০ নম্বরের মধ্যে তার প্রাপ্ত নম্বর ৪১৯। সংবাদমাধ্যমকে নন্দিতা বলেছে, ভাল ফল আশাই করছিলাম। কিন্তু সারা রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থানে থাকব বলে কখনও ভাবিনি।
নন্দিতার বাবা হরিপাল, মা রশ্মি। তাঁদের তিন সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে বড় ১৬ বছরের নন্দিতা। ম্যাট্রিকুলেশনের পর নন্দিতা পড়াশোনা ছেড়ে দিক,এমনটাই চেয়েছিলেন তার বাবা-মা। কারণ, অর্থাভাব। সংসার চালিয়ে মেয়ের পড়ার খরচ চালাতে পারবেন না ভেবেই তাঁরা মেয়েকে পড়া ছেড়ে দিতে বলেছিলেন। কিন্তু হাল ছাড়তে নারাজ ছিল নন্দিতা। শেষ পর্যন্ত তার জেদের কাছে হার মানতে হয় বাবা-মাকে। তবে পড়াশোনার খরচ চালাতে যে কিন্ডারগার্টেন ও প্রাথমিক পড়ুয়াদের টিউশন দিতে শুরু করে।
নিজে কোনও টিউশন নিতে পারেনি। সেই খামতি ঢেকেছে প্রচুর পরিশ্রমে পড়াশোনা করে। হিন্দিতে নন্দিতা পেয়েছে ৯০, ভূগোলে ৮৮, ইতিহাসে ৮৫, ইংরেজিতে ৮২ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৭৪ নম্বর। নন্দিতা বলেছে, স্কুলের ফি ও পড়াশোনার খরচ আমি টিউশন করে চালিয়েছি। পড়াশোনা ছাড়া আমার আর কোনও আগ্রহ নেই। যা কিছুই হোক না কেন, আমি পড়াশোনা চালিয়ে যাব।
দশম শ্রেণি পর্যন্ত নন্দিতার পড়াশোনা ডিবিএমএস কদমা হাইস্কুলে। মাস কমিউনিকেশন নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়ে সাংবাদিক হতে চায় নন্দিতা। ছাত্রীর এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত জেডব্লুসি-র প্রিন্সিপাল। তিনি শনিবার নন্দিতার বাড়িতে এসে কিছু আর্থিক পুরস্কার, রূপোর কয়েন ও রিস্ট ওয়াচ উপহার হিসেবে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বাড়ির প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে পড়াশোনার পথে বাধা সত্ত্বেও ওর হাল না ছাড়ার এই মনোভাব অবিশ্বাস্য। পুরো কলেজই ওর জন্য গর্বিত।
নন্দিতা জানিয়েছে, পরবর্তী পড়াশোনার ক্ষেত্রে হস্টেল ফি সহ কোনও চার্জ না নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কলেজ। ফার্স্ট গার্ল বলেছে, উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার যে অনুমতি তাকে তার বাবা-মা দিয়েছে, তা তার সৌভাগ্য। তার পাশে দাঁড়ানোয় কলেজের প্রতিও কৃতজ্ঞতার কথা জানিয়েছে সে।
পূর্ব সিংভূমের ডিসিপি সুরাজ কুমারও ২০০৪-এ রাজ্যে প্রথম হয়েছিলেন। তিনি শুক্রবার রাতে ফোন করে নন্দিতাকে অভিনন্দন জানান এবং পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া ও কঠোর পরিশ্রম করার আর্জি জানান।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI
শিক্ষা (Education) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
ফুটবল
জেলার
Advertisement