![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
বারো ক্লাসে অঙ্কে ফেল করেও হওয়া যায় IAS, অনুপ্রেরণার নাম সইদ রিয়াজ আহমদ
সইদের বাবার পূর্ণ আস্থা ছিল ছেলের উপর। যে শিক্ষক বলেছেলিন, তাঁর ছেলের দ্বারা জীবনে কিছু হবে না - প্রত্যুত্তর দিয়েছিলেন তাঁকে।
![বারো ক্লাসে অঙ্কে ফেল করেও হওয়া যায় IAS, অনুপ্রেরণার নাম সইদ রিয়াজ আহমদ IAS Success Story: Know the inspiring story of IAS Topper Sayyed Riyaj Ahemad who cleared UPSC exam after getting failed in Class 12 বারো ক্লাসে অঙ্কে ফেল করেও হওয়া যায় IAS, অনুপ্রেরণার নাম সইদ রিয়াজ আহমদ](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/03/27/29fb7d36955f4dc7ab7833bd36e27c22_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
নয়াদিল্লি: একাগ্রতা আর কঠোর পরিশ্রম। সাফল্য পেতে এর কোনও বিকল্প নেই। সাফল্যের শীর্ষস্তরে পৌঁছতে নেই কোনও শর্টকার্ট। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন যাঁরা, তাঁদের মুখেই নানা সময়ে উঠে এসেছে এই কথা। প্রতিযোগিতা যেখানে চরম, সেখানে সফল হতে যে পরিশ্রমের চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছতে হবে তা আর নতুন কী ! আর সেই প্রতিযোগিতার নাম যদি হয় IAS, তাহলে প্রস্তুতির জন্য পরিশ্রম ঠিক কতটা হতে হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে কি? তবে, নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে IAS-র দরজা পেরোতে সফল হয়েছেন যাঁরা, তাঁদের নিজমুখে সে লড়াইয়ের গল্প শুনলে কঠিন রাস্তাটা সুগম হয়ে যেতে পারে। আজ থাকল IAS সইদ রিয়াজ আহমেদের সংগ্রাম কাহিনি।
আর পাঁচটা গড়পড়তা ছাত্র যেমন হয়, তেমনই ছিলেন তিনি। ক্লাস টুয়েলভের পরীক্ষায় অঙ্কে ফেল করেছিলেন। শিক্ষক নাকি বাবাকে তখন বলেছিলেন, সইদ রিয়াজের দ্বারা কিস্যু হবে না। জ়িরো সে। জীবনে কিছুই করতে পারবে না। কিন্তু কে জীবনে কী করবে তা কি পরীক্ষার নম্বরে ঠিক হয় ! সইদের বাবা বিশ্বাস করতেন, তাঁর ছেলে ঠিক একদিন পাঁচজনের একজন হবে। ছেলের উপর পূর্ণ আস্থা ছিল তাঁর। সেই শিক্ষককে সইদের বাবা তাই উত্তরও দিয়েছিলেন - ছেলে নিশ্চয়ই বড় হয়ে বড় কেউই হবে। বাবাকে হতাশ করেননি সইদ রিয়াজ।
মহারাষ্ট্রের নাসিকের বাসিন্দা সইদ রিয়াজ আহমদ। পুনে ইউনিভার্সিটির স্নাতকোত্তর। MSC -র পর সিদ্ধান্ত নেন UPSC দেবেন। IAS হবেন। শুরু করেন প্রস্তুতি।
সইদ রিয়াজের IAS জার্নি ৫ বছরের। ২০১৪-য় শুরু করেন প্রস্তুতি। ১৪, ১৫- প্রিলিমিনারি পাশ করতে পারেননি। ২০১৬-য় প্রিলিমিনারি, মেনসে কোয়ালিফাই করলেও সিলেক্ট হননি। ২০১৭-তেও কান ঘেঁষে বেরিয়ে যায় সাফল্য। অবশেষে ২০১৮-য় UPSC-র হার্ডল টপকে ফেলেন। তবে লড়াইটা যথেষ্ট কঠিন ছিল। একবার তো জার্নি শেষ করার কথাও ভেবেছিলেন। তবে বুঝিয়েছিলেন বাবা। লড়াইয়ের রাস্তাতেই থাকতে বলেন। প্রস্তুতি আরও জোরদার করেন রিয়াজ। সাফল্য আসে।
সইদ রিয়াজ আহমেদের টিপস
UPSC-র প্রস্তুতি জীবনের আসল মূল্যবোধ সম্পর্কে শিক্ষা দেয়। তাই সেই মূল্যবোধের উপর ভর করে এগিয়ে চলা উচিত। পরীক্ষার সময় অত্যধিক পড়াশোনা আর গুলিয়ে ফেলা ঠিক হবে না। বিষয় সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা যাতে তৈরি হয়, সেদিকে নজর দেওয়া দরকার। ইদানিং UPSC-তে বিশ্লেষণাত্মক দিক বেশি দেখা হচ্ছে। বইয়ের রিভিজ়ন জরুরি। লেগে থাকা আর কঠোর পরিশ্রমই UPSC-তে সাফল্যের চাবিকাঠি।
তথ্য সৌজন্য - এবিপি লাইভ হিন্দি
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)