(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
চারবার অসফল, সাতবছর টানা লেগে থেকে বাজিমাত
IAS Success Story of Topper Yashwant Meena: এক-আধবার নয়। পাঁচবারের চেষ্টায় IAS-এর দরজা খুলতে সক্ষম হন যশবন্ত।
নয়াদিল্লি: একাগ্রতা আর কঠোর পরিশ্রম। সাফল্য পেতে এর কোনও বিকল্প নেই। সাফল্যের শীর্ষস্তরে পৌঁছতে নেই কোনও শর্টকার্ট। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন যাঁরা, তাঁদের মুখেই নানা সময়ে উঠে এসেছে এই কথা। প্রতিযোগিতা যেখানে চরম, সেখানে সফল হতে যে পরিশ্রমের চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছতে হবে তা আর নতুন কী ! আর সেই প্রতিযোগিতার নাম যদি হয় IAS,তাহলে প্রস্তুতির জন্য পরিশ্রম ঠিক কতটা হতে হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে কি? IAS-র দরজা পেরোতে সফল হয়েছেন যাঁরা, তাঁদের লড়াইয়ের গল্প কঠিন রাস্তাটা সুগম করে দিতে পারে। আজ থাকল যশবন্ত মীনার লড়াইয়ের IAS জার্নি।
মোটের ওপর সাতবছর লেগে ছিলেন তিনি। কোনও পরীক্ষায় পাশ করতে সাতবছর ধরে টানা চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া মোটেই যে সহজ নয়, তা যশবন্তের কথাতেই পরিষ্কার। কিন্তু তা সত্ত্বেও লড়াইয়ের রাস্তা থেকে সরে আসেননি তিনি। শেষমেশ ২০১৯ সালে বাজিমাত করেন। IAS সাফল্য তালিকায় গোটা দেশে তার স্থান ছিল সাতশো সাতানব্বই নম্বরে।
রাজস্থানের জয়পুরের বাসিন্দা যশবন্ত। ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে ভর্তি হন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। পড়তে পড়তেই স্থির করেন আমলা হবেন। বসবেন UPSC পরীক্ষায়। আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ছিলেন। প্রস্তুতি শুরু করেন জোরকদমে। প্রথম ও দ্বিতীয় বার পরীক্ষায় বসে সফলতা পাননি। তৃতীয়বারে ইন্টারভিউয়ের দরজা পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু শেষমেশ শিকে ছেঁড়েনি। এত কঠিন পরীক্ষায় ইন্টারভিউ রুম থেকে খালি হাতে ফিরে থাকার যন্ত্রণা কতটা, তা যশবন্তের মতো পরীক্ষার্থীরা ভালোই জানেন। তবে, হতাশাকে স্থান দেননি যশবন্ত। আবার শুরু করেন। নতুন করে। অবশেষে স্বপ্নপূরণ তখন, যখন ধৈর্য নিজের সঙ্গে লড়াই করতে করতে ক্লান্ত। পঞ্চমবার প্রয়াসে ২০১৯ সালে IAS-এর চূড়ান্ত ক্রমতালিকায় জায়গা করে নেন যশবন্ত।
ইন্টারনেট উপকারী, সেল্ফ স্টাডিতে জোর IAS রোমার
যশবন্তের মতে, পরীক্ষার খাতায় উত্তর লেখার টেকনিকের মধ্যেই লুকিয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি। কেউ যতই নোটস তৈরি করুক না কেন, কেউ যতই রিসোর্স রেডি করুক না কেন, আসল সময়ে পরীক্ষার খাতায় তার ছাপ না ফেলতে পারলে কোনওকিছুই কাজের নয়। তাই পরীক্ষার হলের নির্দিষ্ট সময়কে পাখির চোখ করতে বলছেন যশবন্ত। পরীক্ষার আগে যত বেশি উত্তর লেখার অনুশীলন, লাভ তত বেশি। দৈনিক নিবন্ধ লেখার অনুশীলন পরীক্ষার্থীকে এগিয়ে রাখবে অনেক বেশি। কোনও নিবন্ধের শুরু এবং শেষ খুব ভালো হওয়া উচিত। তাঁর মতে এতে পার্থক্য তৈরি হয়।
প্রিলিমিনিরা পরীক্ষার আগে বিস্তারিত রিভিজনের ওপরে জোর দিচ্ছেন যশবন্ত। এতে মেনসেও সুবিধা পাওয়া যাবে বলে তাঁর মত।
যশবন্তের অন্যান্য় টিপস
- অসফল হলে ঘাবড়ে না গিয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
- নিজের উত্তর অন্যদের থেকে আলাদা করতে তথ্য, পরিসংখ্যান, ডায়াগ্রামের ব্যবহারে জোর।
- মেন পরীক্ষার আগে যতবেশি সম্ভব অভ্যাস করতে হবে।
- বইয়ের আধিক্য যত না হবে তত ভালো। ইন্টারনেটের ব্যবহার পরীক্ষার্থীকে সহায়তা করবে।
- সেলফ মোটিভেশন থাকুক। বাইরের অযৌক্তিক পরামর্শ থেকে দূরে থাকলে সুফল।
তথ্যসূত্র - এবিপি লাইভ হিন্দি
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI