Student Credit Card: পড়ার খরচে চিন্তা? মুশকিল আসান Student Credit Card!
WB Government Scheme: পড়াশোনার পথে কখনও যেন বাধা না হয় আর্থিক সঙ্কট, এমন ভাবনা থেকেই শুরু এই প্রকল্পের। কী কী সুবিধা মেলে?
কলকাতা: মেধা-যোগ্যতা সবই হয়তো রয়েছে। কিন্তু উচ্চশিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান হয়নি। এমন কত ঘটনার কথা শোনা যায়। এই রকম পরিস্থিতির জন্য যাতে পড়াশোনা আটকে না যায়, তার জন্যই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে চালু করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প। পড়াশোনার পথে কখনও যেন বাধা না হয় আর্থিক সঙ্কট, এমন ভাবনা থেকেই শুরু এই প্রকল্পের। অল্প সুদ এবং দীর্ঘমেয়াদে পরিশোধের সুযোগ-সহ সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা পাওয়া যায় এই ঋণে।
কাদের জন্য এই সুবিধা:
বিভিন্ন স্তরের পড়শোনার জন্য় এই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা যায়। যেকোনও স্বীকৃত বোর্ডের অধীনে কোনও প্রতিষ্ঠানে সেকেন্ডারি স্তর থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত এর সুবিধা মিলবে। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক, স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনার জন্য এই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা যায়। দেশ বা বিদেশের কোনও স্বীকৃত কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিপ্লোমা, স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং ডক্টরাল বা পোস্ট ডক্টরাল স্তরের পড়াশোনা বা গবেষণার জন্য কোনও শিক্ষার্থী এর সুবিধা পাবেন। এছাড়াও কোনওরকম প্রোফেশনাল ডিগ্রি বা সমতুল্য কোর্সের খরচের জন্য ব্যবহার করা যায়। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসার জন্য যে ট্রেনিং প্রয়োজন তার জন্য কোনও প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলেও এই ঋণ পাওয়া যাবে।
কারা এই সুবিধা পাবেন?
এই প্রকল্পের অধীনে ঋণ পেতে গেলে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে এবং অন্তত ১০ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে।
দশম শ্রেণি থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত এই ঋণের সুবিধা পাওয়া যাবে।
ঋণ ও সুদ:
ক্রেডিট কার্ড প্রতি সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকার ঋণ মিলবে। চলতি বাজারের তুলনায় অনেকটাই কম সুদে এই ঋণ মিলবে পড়ুয়াদের। রাজ্য বা কেন্দ্রের কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্ক, জেলা কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্ক, সরকারি বা বেসরকারি ক্ষেত্রের ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ মিলবে।
ঋণ ফেরতের ক্ষেত্রেও সহজ পদ্ধতি রয়েছে। আগে ঋণ মেটালেও পেনাল্টি চার্জ থাকে না। কতদিনের ঋণ, কীভাবে ফেরত হবে তা ব্যক্তি বিশেষে এবং ঋণের পরিমাণের উপর নির্ভর করতে পারে।
কী কী নথি প্রয়োজন:
১. যিনি আবেদন করছেন তাঁর আধারের কপি, মাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশনের কপি
২. আবেদনকারী এবং তাঁর বাবা-মা বা আইনি অভিভাবকের রঙিন ছবি
৩. ঋণের আবেদনকারীর মোবাইল ফোন নম্বর এবং ই-মেল আইডি
৪. আবেদনকারী এবং তাঁর বাবা-মা বা আইনি অভিভাবকের প্যান কার্ডের কপি, সেটা না থাকলে নির্দিষ্ট ফরম্যাটে ডিক্ল্যারেশন দিতে হবে
৫. বাসস্থানের প্রামাণ্য নথির কপি
৬. আবেদনকারী এবং তাঁর গ্যারান্টারের ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত তথ্য এবং নথি (পাসবইয়ের সামনের পাতার কপি)
৭. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যা কোর্স ফি রয়েছে, সেই সংক্রান্ত সব নথির কপি
৮. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির নথির কপি
অনলাইনে আবেদন করা যাবে https://wbscc.wb.gov.in
এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। এছাড়া www.wb.gov.in থেকে তথ্য মিলবে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ পশ্চিম রেলে প্রচুর পদে হচ্ছে নিয়োগ, জেনে নিন যোগ্যতা ও আবেদনের পদ্ধতি
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI