Panchayat Poll 2023 : 'কী করছিল পুলিশ?' ভোটের আগেই সন্ত্রাস মামলায় হাইকোর্টেও ধাক্কা রাজ্যের
আদালতের পর্যবেক্ষণ - 'ভাঙড়, কাশীপুর, হাড়োয়া, বসিরহাট নিয়ে কোর্টের নির্দেশের পরও মনোনয়নের ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ পুলিশ' !
কলকাতা : পঞ্চায়েত ভোট ( Panchayat Poll ) নিয়ে আদালতে মঙ্গলবার জোড়া ধাক্কা খেল রাজ্য। একদিকে সুপ্রিম কোর্টে ( Supreme Court ) বড় ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য। পঞ্চায়েত ভোটে খারিজ করা হয়েছে বাহিনী মামলায় রাজ্য ও কমিশনের এসএলপি । বহাল রাখা হয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশ - ভোটে সর্বত্র মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। অন্যদিকে হাইকোর্টেও ধাক্কা খেল রাজ্য। হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল পুলিশ। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এদিনের পর্যবেক্ষণ - 'ভাঙড়, কাশীপুর, হাড়োয়া, বসিরহাট নিয়ে কোর্টের নির্দেশের পরও মনোনয়নের ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ পুলিশ' !
হাইকোর্টের প্রশ্ন, 'জায়গায় জায়গায় বোমাবাজি ও গুলির অভিযোগ, কী করছিল পুলিশ?'
ভোটের আগেই মনোনয়ন ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জেলা থেকে জেলা। এই প্রসঙ্গে হাইকোর্টের প্রশ্ন, 'জায়গায় জায়গায় বোমাবাজি ও গুলির অভিযোগ, কী করছিল পুলিশ?' । আদালত প্রশ্ন করে, 'ক্যানিং, মিনাখাঁ, ভাঙড়, ন্যাজাট, জীবনতলায় মনোনয়নের জন্য কত পুলিশ মোতায়েন হয়েছিল?' । রাজ্যকে প্রশ্ন করা হয়, গন্ডগোলের আগে ও পরে কতজন গ্রেফতার হয়েছে ?
এরপর ১০ দিনের মধ্যে হলফনামা আকারে রাজ্যের জবাব তলব করেছে আদালত। এছাড়া যেসব জায়গায় সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে, সেই সংশ্লিষ্ট এলাকার বিডিও অফিসের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ তলব করেছে আদালত। ১৪ থেকে ১৬ জুনের সিসিটিভি ফুটেজ জমা দিতে হবে আদালতে।
এর আগে কলকাতা পুলিশকে এসকর্ট দিয়ে, হাইকোর্টে হাজির বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন জমার জন্য গন্তব্যে পাঠাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা। মনোনয়নের শেষ দিনে, বেলাগাম সন্ত্রাসের মধ্য়ে, এরকমই বেনজির নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, কলকাতা পুলিশকে এসকর্ট দিয়ে, হাইকোর্টে হাজির বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন জমার জন্য গন্তব্যে পাঠাতে হবে। অভিযোগ, তৃণমূলের বাধায় মুখে মনোনয়ন জমা দিতে আসতে পারছিলেন না ISF-এর সম্ভাব্য প্রার্থীরা। মনোনয়নপর্ব শেষ হতেই, বিডিও অফিসে আসেন তাঁরা। এদিন নির্দেশে বিচারপতি মান্থা বলেন, হাইকোর্টে আসা বিভিন্ন এলাকার বিরোধী প্রার্থীদের বসিরহাট, ক্যানিং, ভাঙড়, কাশিপুর পৌঁছতে কলকাতা পুলিশকে এসকর্ট দিতে হবে। তাঁরা যাতে মনোনয়নস্থলে সময়ের মধ্যে পৌঁছতে পারেন, তাই রাজ্য সরকারকে এই ব্যবস্থা করতে হবে। এখনই হাইকোর্টে উপস্থিত সব প্রার্থীকে হেয়ারস্ট্রিট থানায় পৌঁছতে হবে। বাকি প্রার্থীরা এখনই স্থানীয় থানা বা পুলিশ সুপারের অফিসে হাজির হবেন। তাঁদের পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে নিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন :
নির্বাচন করানো মানে হিংসার লাইসেন্স দেওয়া নয়, পঞ্চায়েতে বাহিনী-মামলায় মন্তব্য শীর্ষ আদালতের