EC Guidelines: সিভিক বা গ্রিন পুলিশকে ভোটের দায়িত্ব নয়, নির্দেশিকা কমিশনের
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিকদের নির্বাচনের কাজে নিয়োগ করা যাবে না বলে নির্দেশিকা কমিশনের। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি দিয়ে সাফ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
কলকাতা: কোনও সিভিক পুলিশ, গ্রিন পুলিশ, স্টুডেন্ট পুলিশদের ভোটের কাজ বা তার সঙ্গে সম্পর্কিত কাজে নিযুক্ত করা যাবে না। নির্দেশিকা নির্বাচন কমিশনের। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিকদের নির্বাচনের কাজে নিয়োগ করা যাবে না বলে নির্দেশিকা কমিশনের। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি দিয়ে সাফ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে কালই রাজ্যে আসবেন দু’জন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক। পাশাপাশি আসছেন দু’জন বিশেষ পর্যবেক্ষকও। ২০১৬ ও ২০১৯-এর বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনে প্রতি জেলায় একজন করে পুলিশ পর্যবেক্ষক ছিলেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এবার প্রতি জেলায় তিনজন করে পুলিশ পর্যবেক্ষক থাকবেন।
এছাড়াও প্রত্যেক বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য দু’জন করে সাধারণ পর্যবেক্ষক থাকবেন। ৮ দফার নির্বাচনে মোট ৫০০ জন পর্যবেক্ষক থাকবেন বলে কমিশন সূত্রে খবর। গতকাল কেন্দ্রীয় পর্যবক্ষকদের সঙ্গে সাধারণ পর্যবেক্ষকদের ভার্চুয়াল বৈঠক হয়।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর ওই বৈঠকে, ভোট প্রক্রিয়া ছাড়া অন্য কোনও কাজে যাতে তাঁরা যুক্ত না হন, সে বিষয়ে সকলকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কেউ যাতে পক্ষপাতদূষ্ট না হন, তা নিয়েও সতর্ক করে দিয়েছে কমিশন।
ভোটের দিন অনেক সময় গন্ডগোলের ঘটনা ঘটলে, টহলরত সেক্টর অফিসারদের বিরুদ্ধে বাহিনী নিয়ে সঠিক সময়ে ঘটনাস্থলে না পৌঁছনোর অভিযোগ ওঠে। সেকথা মাথায় রেখে এবার প্রায় ১৫ হাজার সেক্টর অফিসারদের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে তাঁদের গাড়িতে বসানো হচ্ছে জিপিএস।
এছাড়াও নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ভোট নিরাপত্তায় ২৫ মার্চের মধ্যে ৬৫০ কোম্পানি বাহিনী আসবে রাজ্যে। তার মধ্যে ৮ মার্চের মধ্যেই রাজ্যে চলে আসবে ১৭০ কোম্পানি বাহিনী। অন্যদিকে ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনের তরফে যে স্লিপ দেওয়া হয়, তাতে এবার ভোটারদের ছবি থাকছে না।