Arambagh Loksabha Election Result: প্রার্থী বদলেও আরামবাগে জয়ী তৃণমূল, আসন ধরে রাখতে সফল হল জোড়াফুল
Arambagh Election Result: এবছর লোকসভা নির্বাচনে আরামবাগে বিদায়ী সাংসদ অপরূপা পোদ্দারকে প্রার্থী করেনি তৃণমূল।
আরামবাগ: লোকসভা নির্বাচনে আরামবাগে জয়ী হলেন তৃণমূল প্রার্থী মিতালি বাগ। ৭ লক্ষ ১২ হাজার ৫৮৭ ভোটে জয়ী হয়েছেন মিতালি। ৬ হাজার ৩৯৯ ভোটে পরাজিত করেছেন বিজেপি-র অরূপকান্তি ডিগরকে। সিপিএম প্রার্থী বিপ্লব কুমার মৈত্র তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। তিনি মোট ৯২ হাজার ৫০২ ভোট পেয়েছেন। (Arambagh Loksabha Election Result)
এবছর লোকসভা নির্বাচনে আরামবাগে বিদায়ী সাংসদ অপরূপা পোদ্দারকে প্রার্থী করেনি তৃণমূল। সেই নিয়ে শাসকদলের অন্দরেই টানাপোড়েন শুরু হয়। টিকিট না পেয়ে প্রকাশ্যে যেমন অসন্তোষ প্রকাশ করেন অপরূপা, তেমনই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় তাঁকে উঠতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন। সরাসরি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তোলেন অপরূপা। (Arambagh Election Result)
২০০৯ সাল থেকে আরামবাগ লোকসভা আসনটি সংরক্ষিত। হুগলি জেলার ছয়টি বিধানসভা আসন, হরিপাল, তারকেশ্বর, পুরশুড়া, আরামবাগ, গোঘাট, খানাকুল এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা নিয়ে গঠিত আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্র।
১৯৬৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত আরামবাগের সাংসদ ছিলেন ফরোয়ার্ড ব্লকের অমিয়নাথ বসু। ১৯৭১ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত সাংসদ ছিলেন সিপিআই-এর মনোরঞ্জন হাজরা। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত জনতা দলের দখলে ছিল আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্র। এর পর ১৯৮০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত একটানা সেখানে সিপিএম-এর আধিপত্য ছিল। রাজ্য রাজনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র অনিল বসুই ১৯৮৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত আরামবাগের সাংসদ ছিলেন। আরামবাগ থেকেই প্রথম সাংসদ নির্বাচিত হন অনিল। তাঁর পর পাঁচ বছর আসনটি দখলে রেখেছিলেন শক্তিমোহন মালিক।
২০১৪ সালে আরামবাগ আসন থেকে অপরূপা পোদ্দারকে প্রার্থী করে তৃণমূল। সেবার সিপিএম-এর শক্তিমোহনকে ৩ লক্ষ ৪৬ হাজার ভোটে পরাজিত করেন অপরূপা। ২০১৯ সালেও পুনরায় ওই আসন থেকে নির্বাচিত হন তিনি। সেবার বিজেপি-র তপনকুমার রায়কে পরাজিত করেন অপরূপা। কিন্তু ২০২৪ সালে তাঁকে আরামবাগে টিকিট দেয়নি তৃণমূল। সেই নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভও উগরে দিতে দেখা যায় অপরূপাকে।
রাজ্যে ২৯টি আসনে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ১২টি আসনে। কংগ্রেস একটিতে এগিয়ে রয়েছে। এদিনের জয়ের কৃতিত্ব বাংলার মানুষকেই দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রাখা, বাংলাবিদ্বেষী আচরণের জন্যই বিজেপি-কে মানুষ উচিত শিক্ষা দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। মমতা জানিয়েছেন, এই ফলাফল কেন্দ্রে I.N.D.I.A জোটের হাত শক্ত করবে। এখন থেকে আর ইচ্ছে মতো বিল পাস করতে পারবে না বিজেপি। ইডি, সিবিআই-কেও যেমন ইচ্ছে ব্যবহার করা যাবে না, সেক্ষেত্রে তাঁরাও পাল্টা জবাব দিতে তৈরি থাকবেন।