Electoral Bonds Case: কালকের মধ্যেই নির্বাচনী বন্ডের সব তথ্য জানাতে হবে এসবিআই-কে, কড়া সুপ্রিম কোর্ট
Electoral Bond News : কালকের মধ্যে তথ্য না দিলে, এসবিআইয়ের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হবে, বলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট।
বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি : এসবিআইয়ের আবেদন খারিজ, নির্বাচনী বন্ড নিয়ে কড়া অবস্থান সুপ্রিম কোর্টের ( Supreme Court )। মঙ্গলবারের মধ্যেই নির্বাচনী বন্ডের সব তথ্য ( Electoral Bonds data) জানাতে হবে এসবিআই-কে, নির্দেশ শীর্ষ আদালতের। ১৫ মার্চের মধ্যে ওয়েবসাইটে তথ্য আপলোড করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission Of India ), নির্দেশ দিল সর্বোচ্চ আদালত। কালকের মধ্যে তথ্য না দিলে, এসবিআইয়ের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হবে, বলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট।
প্রধান বিচারপতি DY চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের স্পষ্ট নির্দেশ, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কোন রাজনৈতিক দলের তহবিলে কত টাকা জমা পড়ে, তা জানাতে হবে সাধারণ মানুষকে। এর আগে ৬ মার্চের মধ্যে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য দিতে SBI-কে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালত তখন নির্দেশ দেয়, কোন রাজনৈতিক দল, কত অনুদান পেয়েছে, তার বিস্তারিত তথ্য জমা দিতে হবে SBI-কে। ৩০ জুন পর্যন্ত সময় চেয়ে পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায় এসবিআই। স্টেট ব্যাঙ্কের সেই আবেদন খারিজ করে দিল সর্বোচ্চ আদালত।
নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলের তহবিল সংগ্রহ অসাংবিধানিক, আগেই রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আর এবার আরও কড়া অবস্থান নিয়ে শীর্ষ আদালত বলল, মঙ্গলবারের মধ্যেই নির্বাচনী বন্ডের সব তথ্য জানাতে হবে ।
কী এই নির্বাচনী বন্ড? আড়ালে থেকে, রাজনৈতিক দলকে টাকা জোগানোর এই পদ্ধতি নিয়ে, বিতর্ক বহুদিনের। লোকসভা ভোটের মুখে, সেই নির্বাচনী বন্ড নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। গত ফেব্রুয়ারিতেই প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলের তহবিল সংগ্রহ অসাংবিধানিক। SBI-কে সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দেয়, তাদের কাছ থেকে যাঁরা নির্বাচনী বন্ড কিনেছেন, ৬ মার্চের মধ্যে তাঁদের নাম-সহ বিস্তারিত তথ্য জমা দিতে হবে নির্বাচন কমিশনের কাছে।
ভোটে কালো টাকার লেনদেন বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৮ সালে নির্বাচনী বন্ড চালু করেছিল মোদি সরকার। কোনও ব্যক্তি বা কর্পোরেট সংস্থা রাজনৈতিক দলকে চাঁদা দিতে চাইলে, কিনতে হয় নির্বাচনী বন্ড। সেই বন্ড বিক্রির দায়িত্বে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। রাজনৈতিক দলগুলি বন্ড ভাঙিয়ে নিলেও কে, কত টাকা দিয়েছেন, তা বোঝা যেত না। উল্টে অনুদানকারীর জন্য মিলত ১০০ শতাংশ কর ছাড়ের সুবিধা। বন্ড চালু হওয়ার পরই অভিযোগ ওঠে, রাজনৈতিক দলকে মোটা চাঁদা দিয়ে ঘুরপথে বিশাল সুবিধা আদায় করছে অনুদানকারীরা।
কাদের আয় বেশি এই বন্ড থেকে ?
তথ্য় বলছে,
- এই বন্ড থেকে সর্বোচ্চ আয় বিজেপির। ন'হাজার কোটি টাকার মধ্য়ে, তারাই একা পেয়েছে পাঁচ হাজার কোটি।
- আঞ্চলিক দল হিসেবে, তালিকার শীর্ষে আছে তৃণমূল । পেয়েছে সাতশো কোটি টাকা।
কিন্তু, কারা এই বিপুল টাকা দিয়েছে? গৌরী সেন কারা? এসবিআই তথ্য প্রকাশ করলে তা জানা যেতে পারে।
আরও পড়ুন :