Election 2024: আমডাঙায় তৃণমূল বনাম তৃণমূল! নাক ফাটল পঞ্চায়েত প্রধানের
Amdanga Panchayat Pradhan Beaten:ভোট আবহেই আমডাঙায় তৃণমূল বনাম তৃণমূল। মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানকে মেরে নাক ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সদস্য ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে।
সমীরণ পাল, আমডাঙা: ভোট আবহেই (Election 2024) আমডাঙায় তৃণমূল বনাম তৃণমূল (Amdanga Panchayat Pradhan Beaten)। মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানকে মেরে নাক ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সদস্য ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, পঞ্চায়েতের টাকা তছরুপের প্রতিবাদ করায় হামলা চলেছে। তেমনই দাবি তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের। পাল্টা প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পঞ্চায়েত সদস্যের পরিবারের।
বিশদ...
লোকসভা হোক বা বিধানসভা, বা পঞ্চায়েত ভোট---এই রাজ্যে নির্বাচনী অশান্তির অভিযোগ ভূরি ভূরি। চলতি লোকসভা ভোটে যে সেই ধারা বদলেছে, এমন বলার উপায় নেই। ভাঙড়ের কথাই ধরা যাক।ভোটের আগে ফের সংঘর্ষের কারণে শিরোনামে ভাঙড়। প্রাথমিক ভাবে যা জানা যাচ্ছে, তাতে তৃণমূল-ISF সংঘর্ষে তেতে ওঠে এই এলাকা। গত কাল চালতাবেড়িয়া এলাকায় যাদবপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষের প্রচারে না যাওয়ায় ISF কর্মীকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আঙুল উঠেছে তৃণমূলের দিকে। অন্যদিকে, ISF-র বিরুদ্ধে ভাঙড়ের ভগবানপুরে এক তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। জখম তৃণমূল কর্মী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দুটি ঘটনায় উত্তর কাশীপুর ও পোলেরহাট থানায় একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল ও ISF। দু’ দলই তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে। এরকম ঘটনা এখানেই শেষ নয়। লোকসভা ভোটের ষষ্ঠ দফাতেও কম-বেশি এই ধরনের অভিযোগ শোনা গিয়েছে রাজ্যের নানা প্রান্তে।
বার বার অশান্তি...
দাঁতনের অশান্তির কথা হয়তো এখনও অনেকের স্মরণে থাকবে। সেখানে, ষষ্ঠ দফা ভোটের আগের দিন তৃণমূল এবং-বিজেপি কর্মীদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাধে। অভিযোগ, রীতিমতো বাঁশ-লাঠি নিয়ে হামলা চলেছিল যাতে বেশ কয়েকজন আহতও হন। এখানেই শেষ নয়। ষষ্ঠ দফা ভোটের আগেই মহিষাদলে এক তৃণমূল নেতাকে খুনের অভিযোগ ঘিরে হইচই পড়ে যায়। পরিবারের দাবি, ওই নেতা রাতে বাড়ি ফেরার পথে আক্রান্ত হন। ঘটনায় বিজেপির বুথ সভাপতি-সহ গ্রেফতার ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। আবার, ঝাড়গ্রামের গড়বেতায় ধুন্ধুমার বাধে। বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডু। প্রণত টুডুর গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে সে বার, ইটের ঘায়ে মাথা ফাটে প্রার্থীর নিরাপত্তারক্ষীর। ছাড় পাননি সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও। আক্রান্ত হয় এবিপি আনন্দ, ভাঙচুর করা হয় এবিপি আনন্দর গাড়িও। গড়বেতায় ঘটনাস্থলে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর নির্দেশ দেন সিইও-র। নির্দেশ দেয়, কিউআরটি পাঠানোরও। পরে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্টও চায় কমিশন।
আরও পড়ুন:সপ্তম দফা ভোটের আগে দু'দফায় রাজ্যে প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী