Lok Sabha Elections 2024: ১৯৫০ নম্বরে ফোন করলেই ১০০ মিনিটের মধ্যে ব্যবস্থা, ভোট-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ পদক্ষেপ কমিশনের
Election Commission Against Vote Violence : ভোটে সন্ত্রাস রুখতে পর্যাপ্ত সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। ১৯৫০ নম্বরে ফোন করলেই ১০০ মিনিটের মধ্যে ব্যবস্থা নেবে কমিশন।
নয়াদিল্লি : এবারের লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024 ) ৯৭ কোটি ভোটার। পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রের ১৮ তম লোকসভা ভোট এটি। এবার ভোটের বহু আগে থাকতেই বারবার ভোট-হিংসার বিরুদ্ধে বার্তা দিয়েছে এসেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন ( EC )। আবারও ভোটে সন্ত্রাস রুখতে পর্যাপ্ত সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। ১৯৫০ নম্বরে ফোন করলেই ১০০ মিনিটের মধ্যে ব্যবস্থা নেবে কমিশন।
কমিশনের বার্তা, পেশিশক্তি, বেআইনি অর্থ, ভুল তথ্য ও আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গকারী সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই ভোটে সন্ত্রাসের কোনও জায়গা থাকবে না। ভোটের আগে, কিংবা ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে বলে বার্তা দিল কমিশন। সন্ত্রাস-মোকাবিলায় প্রতি জেলায় নির্বাচন কমিশনের কন্ট্রোল রুম থাকবে, কোনওরকম অভিযোগ পেলেই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে, আশ্বাস দিল নির্বাচন কমিশন। কারও বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারা থাকলে ব্যবস্থা নেবে কমিশন। সন্ত্রাস-মুক্ত ভোট করাতে ব্যবস্থা নিতে হবে ডিএম-এসপিদের, মন্তব্য কমিশনের তরফে । ভোটের কাজে অস্থায়ী, চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ব্যবহার করে যাবে না বলেও নির্দেশ দিল কমিশন।
এবার ৭ দফায় লোকসভা হচ্ছে ভোট। শুরু হবে ১৯ এপ্রিল। বাংলায় ভোট হবে ৭ দফায় । বাংলা-সহ উত্তরপ্রদেশ, বিহারে ৭ দফায় ভোট হবে। কমিশনের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, কোনও ভাবেই ভোটে হিংসা বরদাস্ত করা হবে না। এব্যাপারে কড়া হতে হবে জেলা প্রশাসনকে।
লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগে থেকেই নির্বাচনী প্রচারে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী এবং তারকা-প্রচারকদের মন্তব্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে নির্দেশিকা জারি করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। প্রেস বিবৃতিতে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে প্রচারে শালীনতা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয় আগেই। কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে জাতীয় নির্বাচন কমিশন কড়া ব্যবস্থা নেবে। কমিশনের প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়, ধর্ম কিংবা জাতির নামে ভোট চাওয়া যাবে না। এমন কোনও মন্তব্য করা যাবে না যাতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিদ্বেষ বা উত্তেজনা ছড়ায়। বিরোধিতার নামে ভোটারদের মন পেতে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রচারেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। ব্যক্তি আক্রমণ থেকে শুরু করে মহিলাদের সম্মান রক্ষার্থেও কড়া নির্দেশিকা জারি করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ধর্মীয় স্থানে ভোট প্রচারে নিষেধাজ্ঞা এবং সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচারে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন :
দিল্লি দখলের লড়াইয়ের নির্ঘণ্ট প্রকাশ, ভোট শুরু এপ্রিল, আপনার এলাকায় ভোট কবে