Lok Sabha Poll 2024: 'বেধড়ক মারে' TMC কর্মীর মৃত্যু, অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর, উত্তপ্ত গোপালপুর..
Kanksa TMC Murder Case: তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুতে অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর, গাড়িতে দেওয়া হল আগুন..
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: ভোটের আগে মর্মান্তিক ঘটনায় উত্তপ্ত পশ্চিম বর্ধমানের গোপালপুর। কাঁকসার গোপালপুরে তৃণমূল কর্মী পবিত্র বিশ্বাসকে (TMC Leader Murder Case) পিটিয়ে মারার ঘটনায় গ্রেফতার হল শম্ভু দাস ও তার স্ত্রী পূর্ণিমা দাস।দুই জনকে গতকাল রাতে দুর্গাপুরের আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে কাঁকসা থানার পুলিশ।
তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ
শুক্রবার ধৃত দুই জনকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে বলে জানা গেছে।ধৃত শম্ভু দাস জানিয়েছেন পবিত্র মঙ্গলবার রাতে তার বাড়িতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাকে মারতে যায়। বাধা দিতে গিয়েই পবিত্রকে মারধর করা হয়েছে। তাতে তার মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাত্রে কাঁকসার গোপালপুরে পবিত্র বিশ্বাস নামের এক তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠে এলাকারই বাসিন্দা শম্ভু দাসের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর, গাড়িতে আগুন
শম্ভু দাসের বাড়ির সামনে থেকে পবিত্রকে গুরুত্ব আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কাঁকসার একটি বেসরকারি হাসপাতালে পরিবারের সদস্যরা নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। বুধবার ভোরে পবিত্রর মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা গোপালপুর গ্রাম। গোপালপুরে উত্তেজিত বাসিন্দারা শম্ভু দাসের বাড়ি ভাঙচুর চালায় এবং তার বাড়ির সামনে থাকা একটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। ঘটনার পর থেকেই উত্তপ্ত গোপালপুর গ্রাম।
গ্রেফতার ২
বৃহস্পতিবার পবিত্র বিশ্বাসের মৃতদেহ শম্ভু দাসের বাড়ির সামনে রেখে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে গ্রামবাসীরা। পরে পুলিশ দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে মৃতদেহ তুলে নিয়ে যায় গ্রামবাসী। পুলিশের আশ্বাসের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই এই ঘটনায় দুইজনকে বৃহস্পতিবার রাতে দুর্গাপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শম্ভু দাসের বাড়ি থেকে একটি উইকেট উদ্ধার করে পুলিশ তাতে রক্তের দাগ রয়েছে। বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের পর পবিত্রর মৃতদেহ রেখে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তার আত্মীয় পরিজন বন্ধু-বান্ধবরা।
আরও পড়ুন, মুর্শিদাবাদের সম্ভাব্য প্রার্থী সেলিম, আগামীকাল বামফ্রন্টের দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা
অপরদিকে, আরও একটি মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী উত্তর ২৪ পরগনা। অশোকনগরের গুমায় তৃণমূলের উপপ্রধান খুনে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, বাংলাদেশ পালানোর ছক কষেছিলেন অভিযুক্ত। ধৃতকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বারাসাত আদালত। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে এদিন আদালত চত্বরে বিক্ষোভ দেখান নিহত তৃণমূল নেতার অনুগামীরা।