Loksabha Election 2024 : গভীর রাতে হিরণের সেক্রেটারির বাড়িতে হঠাৎ পুলিশ ! ৩ বিজেপি নেতার বাড়িতে রাতভর তল্লাশি
মঙ্গলবার রাতে বিজেপি প্রার্থীর সেক্রেটারির বাড়ি সহ ৩ জায়গায় পুলিশ হানা দেয়। রাত পেরিয়ে ভোর অবধি চলছে তল্লাশি
ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, ঘাটাল : মঙ্গলবারই কোলাঘাটে শুভেন্দু অধিকারীর ভাড়া বাড়িতে পুলিশ হানা দেয়। সেখানকার কর্মীদের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের। এই ঘটনায় চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু। এরপর সেদিন রাতেই আবার পুলিশ হানা দেয় ঘাটালের বিজেপি প্রার্থীর সেক্রেটারের বাড়ি।
ঘাটালে বিজেপির হয়ে ভোটে লড়ছেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার রাতে বিজেপি প্রার্থীর সেক্রেটারির বাড়ি সহ ৩ জায়গায় পুলিশ হানা দেয়। গভীর রাতে খড়গপু
মঙ্গলবার রাত আড়াইটে নাগাদ খড়গপুরের তালবাগিচায় তমোঘ্নর বাড়িতে হাজির হয় ঘাটাল ও খড়গপুর লোকাল থানার পুলিশ। হিরণের দাবি, এর পাশাপাশি কেশপুরে আরও এক বিজেপি নেতা এবং মেদিনীপুরে বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক তন্ময় ঘোষের বাড়িতেও পুলিশ হানা দেয়। কী কারণে অভিযান, তা নিয়ে মুখ খোলেনি পুলিশ। যদিও হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের ফেসবুক লাইভে দেখা যায়, কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার প্রার্থীকে বলছেন, প্রতারণা মামলার তদন্ত করতেই এই অভিযান। সেই ভিডিও সামনে এনেছেন হিরণ।
রাতে সেক্রেটারির বাড়িতে পুলিশি অভিযানের খবর পেয়েই সেখানে ছুটে আসেন হিরণ। পুলিশ আধিকারিকের কাছে ওয়ারেন্ট দেখতে চান। কী কারণে তল্লাশি জানতে চান। কিন্তু পুলিশ তাঁর প্রশ্নের কোনও উত্তর দেয়নি। তারপরই বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি তুঙ্গে ওঠে।
হিরণ ও তাঁর সেক্রেটারি তমোঘ্ন দে-র মায়ের দাবি, রাতে পুলিশ এসে ডাকাডাকি শুরু করে। তখন প্রায় তিনটে বাজতে যায়। অসুস্থ মা দরজা খুলতে না চাওয়ায় পুলিশ দরজায় লাথি মারতে থাকে। তারপর আতঙ্কে দরজা খুললে কোনওরকম কারণ না দর্শিয়েই বাড়িতে ঢুকে পড়ে তারা। তমোঘ্ন দে-র মা রেখা দে বলেন, ' রাত ২টো ৫০-এ পুলিশ আসে। দরজায় লাথি মারছিল। ছেলে বাড়িতে ছিল না। আমি অসুস্থ। কী কারণে, কোথা থেকে এসেছে বলতে চায়নি পুলিশ। '
হিরণের দাবি, তাঁর একাধিক আপ্ত সহায়ক রয়েছেন। তাঁদের একজনকে ফোন করেন ঘাটালের বিদায়ী সাংসদ ও তৃণমূল প্রার্থী। তিনি তাঁকে বারবার হিরণকে ছেড়ে তাঁর সঙ্গে যোগ দিতে বলেন। হিরণের কথায়, 'আমার পিএ কে আই লাভ ইউ বলে মেসেজ পাঠিয়েছে।'
হিরণের প্রশ্ন, ঘাটালের সাংসদ দেবের পিএ-র বিরুদ্ধে গুজরাতে সোনা চুরি, আশা-কর্মীকে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তোলার মতো অভিযোগ আছে। অথচ তাঁকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন ?
এছাড়াও মঙ্গলবার রাত দেড়টা নাগাদ মেদিনীপুর শহরের মিরবাজার এলাকায় বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক তন্ময় ঘোষের বাড়িতেও হানা দেয় পুলিশ। বাড়িতে ছিলেন না বিজেপি নেতা। তাঁর স্ত্রী রীণা ঘোষের দাবি, স্বামী বাড়িতে নেই জানা সত্ত্বেও ভোর পর্যন্ত এলাকাতেই ঘোরাঘুরি করছিল পুলিশ। কী কারণে অভিযান তা জানানো হয়নি বলেও বিজেপি নেতার স্ত্রীর দাবি। আইনজীবী না এলে দরজা খুলবেন না বলে পুলিশকে জানান বিজেপি নেতার স্ত্রী।
আরও পড়ুন :
রেমাল এখন কি পরিস্থিতিতে ? কেন এমন নামকরণ? মানেই বা কী?