Mamata protest EC Campaign ban: 'অগণতান্ত্রিক, সংবিধানবিরোধী সিদ্ধান্ত' আগামীকাল দুপুরে ধর্নায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাতেই জনসভা
আগামীকাল দুপুর ১২ টায় গাঁধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসার কথা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা : নির্বাচন কমিশনে ২৪ ঘণ্টা নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আগামীকাল দুপুরে ধর্নায় বসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্যুইট করে তৃণমূল সুপ্রিমো জানিয়েছেন, 'ভারতের নির্বাচন কমিশনের অগণতান্ত্রিক ও সংবিধানবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আগামীকাল দুপুর ১২ টা থেকে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসছি।'
পাশাপাশি জানা গিয়েছে, রাত ৮টায় তাঁর নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা শেষ হওয়ার পর জনসভাও করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চম দফা ভোটের ৭২ ঘণ্টা আগে প্রচারপর্ব শেষ করবে হবে বলে শীতলকুচি কাণ্ডের পর জানিয়েছিলন নির্বাচন কমিশন। তাই প্রচারের সুযোগ যাতে হাতছাড়া না হয়েই তাই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষের পর রাতেই জনসভার সিদ্ধান্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে।
কিছুক্ষণ আগেই বিবৃতি জারি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে ২৪ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ রাত ৮ টা থেকে আগামীকাল রাত ৮ টা পর্যন্ত বহাল থাকবে যে নিষেধাজ্ঞা। পাঁচ পাতার বিবৃতি জারি করে যেমনটা জানিয়েছে কমিশন। তাঁকে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়েছে, তিনি যাতে এমন কোনও মন্তব্য না করেন, যাতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনও প্রভাব পড়ে বা আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা হয়। আদর্শ আচরণবিধি চলাকালীন তাঁর বিভিন্ন মন্তব্য রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে বলে জানিয়েছে কমিশন।
সংখ্যালঘু ভোট ভাগ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে তার মন্তব্য নিয়ে নির্বাচন কমিশন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিশ দিয়েছিল। কিন্তু তার যে উত্তর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন, তা সন্তোষজনক নয় বলেই জানানো হচ্ছে কমিশনের তরফে। কমিশন বলেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিন্দাজনক। সাত তারিখের সভায় সিআরপিএফ-কে ঘেরাও করা নিয়ে যে মন্তব্য মমতা করেছিলেন, তার নিন্দা করেছে কমিশন। এ ব্যাপারে যে নোটিশের যে জবাব মমতা দিয়েছেন, তাতে কমিশন সন্তুষ্ট নয়।
আদর্শ নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন সংক্রান্ত অভিযোগের নোটিশের যে জবাব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন সে ব্যাপারে কমিশন বলেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদর্শ নির্বাচন আচরণবিধি, সেইসঙ্গে ১৯৫১-র জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১২৩ (৩) ও ৩ এ ধারা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৬, ১৮৯ ও ৫০৫ ধারা লঙ্ঘন করেছেন। তিনি উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন, যা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির পক্ষে ক্ষতিকারক এবং তা নির্বাচনী প্রক্রিয়া ব্যাহত করার সামিল।
কমিশনের যে নির্দেশ জেনেই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল শিবির। সেই প্রতিবাদেরই সুর চড়িয়ে ধর্নায় বসার কথা জানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো।