Panchayat Election: শুভেন্দুর No Vote To Mamata স্লোগান কি মানুষের মনে কোনও প্রভাব ফেলবে? কী বলছে সমীক্ষা?
Opinion Poll: তাঁকে হারাতে বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রাম থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন মমতা। কিন্তু তিনি হেরে যান। বিরোধী দলনেতা হন শুভেন্দু।
কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ডাক দিয়েছেন, নো ভোট টু মমতা। সেই ডাকে কতটা সাড়া পড়বে? এ নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছিল আন্তর্জাতিক খ্য়াতিসম্পন্ন সংস্থা C-Voter। কী উঠে এল তাদের সমীক্ষায়?
নির্ঘণ্ট প্রকাশ থেকে মনোনয়ন এবং স্ক্রুটিনি, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) আগে দফায় দফায় অশান্তি হিংসার সাক্ষী থেকেছে বাংলা। হুজ্জতি, মারামারি, ঝামেলা, বোমাবাজি, প্রাণহানি, কিছুই বাকি থাকেনি। নির্বিঘ্নে নির্বাচনের স্বপ্ন এবারও তাই অধরাই থেকে গিয়েছে। বরং যত এগিয়ে আসছে ভোটগ্রহণে দিন, ততই বাড়ছে অভিযোগের বহর। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শাসকদল তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বিরোধীরা। প্রশ্ন উঠেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও। দীর্ঘ গড়িমসির পর কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটগ্রহণের তৎপরতা দেখা দিলেও, ভোটগ্রহণের দিনও আশঙ্কার অবকাশ থেকে যাচ্ছে। তবে শাসক-বিরোধী প্রচারে খামতি রাখছে না কোনও পক্ষই।
কিন্তু যাঁদের মতামত নিতে এই পঞ্চায়েত নির্বাচন, যাঁদের উপর সবকিছু নির্ভর করছে, সেই ভোটাররা কী ভাবছেন? ভোটগ্রহণের আগে তা নিয়ে আঁচ পেতে রাজ্য় জুড়ে সমীক্ষা চালায় আন্তর্জাতিক খ্য়াতিসম্পন্ন সংস্থা C-Voter. রাজ্যের সমস্ত জেলা পরিষদের সব ক'টি কেন্দ্রে পৌঁছে ১০ হাজার ৫৪৮ জনের জনের সঙ্গে কথা বলেছেন সমীক্ষকরা। সমীক্ষা চালানো হয়েছে ১৫ জুন থেকে ২৬ জনের মধ্য়ে। এই সমীক্ষা কোনও রাজনৈতিক ভবিষ্য়দ্বাণী নয়। শুধু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ভোটারদের ভাবনার আভাস পাওয়ার চেষ্টা। সেই সমীক্ষা কী বলছে জেনে নিন।
যাঁদের মধ্যে সমীক্ষা চালানো হয়েছে, তাঁদের প্রশ্ন করা হয়েছিল, শুভেন্দুর 'No Vote To Mamata' স্লোগান কি মানুষের মনে কোনও প্রভাব ফেলবে? সি ভোটারের সমীক্ষকরা দেখেছেন, এই প্রশ্নের উত্তরে ৩৬ শতাংশ মানুষ বলেছেন, শুভেন্দুর স্লোগান মানুষের মনে প্রভাব ফেলবে। ৫২ শতাংশ মানুষ বলেছেন, শুভেন্দুর স্লোগান মানুষের মনে প্রভাব ফেলবে না। বলতে পারব না, জানিয়েছেন ১২ শতাংশ মানুষ।
আগামী ৮ জুলাই, শনিবার রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট নির্বাচন। গোটা রাজ্যে এক দফাতেই হবে ভোটগ্রহণ। এর আগে, ২০১৩ সালে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট হয়েছিল পাঁচ দফায়। কিন্তু, ২০১৮ সালে ভোট হয় এক দফায়। এবারও পঞ্চায়েত ভোট এক দিনেই ঘোষণা করে রাজ্য় নির্বাচন কমিশন। তা নিয়ে আগাগোড়া প্রশ্ন তুলে আসছেন বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, সর্বদল বৈঠক না ডেকে, ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হয়েছে। বিরোধী শিবিরের কারও মতামত গ্রহণ না করে একতরফাভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের। বিষয়টি আদালত পর্যন্তও পৌঁছয়, যদিও তাতে হস্তক্ষেপ করতে রাজি হয়নি আদালত।
আরও পড়ুন: ABP Exclusive: বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রি শুরু হবে কবে? কীভাবে-কোথায় কেনা যাবে?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন